খরাঃ সাধারণত খরা বলতে কোনো এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে ভূমিতে পানির অনুপস্থিতিকে বুঝায়। অর্থাৎ কোনো এলাকা বৃষ্টিহীন অবস্থায় থাকলে বা অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে মাটির স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গিয়ে শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর ফলে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায় এবং পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এরূপ অবস্থাকে খরা বলে।
খরার কারণঃ খরা মূলত প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মানুষের বহুমুখী কর্মকাণ্ড খরা সৃষ্টিতে সহায়ক নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। নিম্নে খরার প্রধান কারণসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ
১. সময়মতো বৃষ্টিপাতের অভাব;
২. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা;
৩. অপরিকল্পিতভাবে বনভূমি উজাড়;
৪. নদীর উজানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ;
৫. এল নিনো ও লা নিনোর প্রভাব প্রভৃতি।
খরার প্রভাবঃ খরার ফলে যেসব প্রভাব পরিলক্ষিত হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো –
১. কৃষি ফসলের উৎপাদন হ্রাস;
২. ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া;
৩. ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অভিগমন;
৪. উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হওয়া;
৫. খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হওয়া;
৬. গ্রামীন দারিদ্র ও বেকারত্ব বৃদ্ধি;
৭. মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস প্রভৃতি।