BMR কাকে বলে?

BMR এর পূর্ণরূপ হলো Basal Metabolic Rate বা বেসাল মেটাবলিক রেট।

BMR বলতে পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশক বুঝায়।

BMR হলো বিশ্রামে এন্ডোথেরামিক প্রাণী দ্বারা প্রতি ইউনিট সময়ে ব্যয়িত শক্তির পরিমাণ। বিএমআর সাধারণত বয়সের সাথে হ্রাস পায়।

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্যালরিম্যাট্রির মাধ্যমে বিএমআর গ্যাস বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিমাপ করা যেতে পারে, যদিও বয়স, লিঙ্গ, উচ্চতা এবং ওজন ব্যবহার করে কোনোও সমীকরণের মাধ্যমে মোটামুটি অনুমান করা যায়।

বিএমআর (BMR) নির্ণয়

হ্যারিস-বেনেডিক্ট সমীকরণ এমন একটি পদ্ধতি যা কোনও ব্যক্তির বেসাল মেটাবলিক রেট বা BMR অনুমান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিএমআর এর মান বের করা একটু কঠিন, এর সমীকরণ লিঙ্গ ও বয়সভেদে পার্থক্য আছে।

মেয়েদের বিএমআর = ৬৫৫ + (৯.৬ × ওজন কেজি) + (১.৮ × উচ্চতা সেমি) – (৪.৭ × বয়স বছর)

ছেলেদের বিএমআর = ৬৬ + (১৩.৭ × ওজন কেজি) + (৫ × উচ্চতা সেমি) – (৬.৮ × বয়স বছর)

উদাহরণস্বরূপ – ধরাযাক, একজন মহিলার বয়স ৩৩ বছর, উচ্চতা ১৬৫ সেমি এবং ওজন ৯৪ কেজি।

সুতরাং তার বিএমআর = ৬৫৫ + (৯.৬ × ৯৪) + (১.৮ × ১৬৫) – (৪.৭ × ৩৩)

= ৬৫৫ + ৯০২.৪ + ২৯৭ + ১৫৫.১

= ১৬৯৯.৩ ক্যালরি 

বিএমআর ও ব্যয়িত শক্তির সম্পর্ক

বিএমআর মান বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভাস ও শরীরের গঠনের উপর নির্ভরশীল। আমাদের দৈনিক খাদ্য চাহিদার সাথে বিএমআর এর মান নিয়ন্ত্রণ লক্ষ করা যায়। বিএমআর শরীরের ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ শক্তির উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শরীর খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে ১০ – ২০ শতাংশ এবং শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ শক্তি পেয়ে থাকে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে বিএমআর মান কমতে থাকে, আবার অনেকেই শুকনা থাকার জন্য খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। এতে বিএমআর মান আরও কমে যায়, ফলে আর না খেয়ে শুকানো যায় না। যদি প্রতিদিন পরিমিত শারীরিক পরিশ্রম করা হয় তাতে বিএমআর মান বেড়ে যায় এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শরীরকে সুস্থ সবল রাখা যায়।