অভিস্রবণ কাকে বলে?

দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি দ্বারা পাশাপাশি পৃথক থাকলে দ্রাবক পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় তার নিম্ন ঘনত্বের দ্রবণ থেকে উচ্চ ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় সেই প্রক্রিয়াই হলো অভিস্রবণ।

একই দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে পৃথক করা থাকলে দেখা যায় যে দ্রাবক পাতলা দ্রবণ থেকে পর্দার ভেতর দিয়ে ঘন দ্রবণের দিকে যায়। দুটি দ্রবণের ঘনত্ব এক না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এরই নাম অভিস্রবণ।

উদ্ভিদ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মাটি থেকে পানি শোষণ করে। উদ্ভিদের মূলরোমের কোষরস এবং মাটির পানি (পানি + খনিজ লবণ) দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ এবং মূলরোমের কোষ ঝিল্লী অর্ধভেদ্য পর্দা হিসেবে কাজ করে। মাটির পানি ও খনিজ লবণের দ্রবণ কোষরসের চেয়ে পাতলা থাকায় পানি (দ্রাবক) অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মূলরোমে প্রবেশ করে।

অভিস্রবণের প্রকারভেদ

অভিস্রবণ দু’ধরনের হয়ে থাকে। যথা –

অন্তঅভিস্রবণঃ দ্রাবক যখন কোষের বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করে তখন অন্তঅভিস্রবণ ঘটে। অন্তঅভিস্রবণের ফলে মাটি থেকে পানি মূলরোমে প্রবেশ করে; উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি শোষণ করতে পারে। উদাহরণ – কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে ফুলে উঠে।

বহিঅভিস্রবণঃ দ্রাবক যখন কোষের ভেতর থেকে বাইরে আসে তখন বহিঅভিস্রবণ ঘটে। টসটসে আঙ্গুর ঘন চিনির কিম্বা লবণের দ্রবণে ডুবিয়ে রাখলে কিছুটা চুপসে যায়। কারণ বহিঅভিস্রবণের ফলে আঙ্গুরের ভেতরের পানি বাইরের ঘন দ্রবণে চলে আসে।