কারফিউ কাকে বলে? কারফিউ জারির কারণ ও করণীয়

কারফিউ কাকে বলে?

কারফিউ (Curfew) একটি ইংরেজি শব্দ। যা মধ্যযুগে, ইংরেজিতে “curfeu” হিসেবে প্রচলিত ছিল এবং যেটির উৎপত্তি হচ্ছে ফরাসি শব্দ “couvre-feu” থেকে। সান্ধ্য আইন এর ইংরেজি হলো এই Curfew। কারফিউ বা সান্ধ্য আইন যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

কারফিউ বলতে বোঝায় এমন একটি আইন বা নির্দেশ, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোকদের বাহিরে বের হওয়া নিষিদ্ধ থাকে। সাধারণত কোনো বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন দাঙ্গা, অশান্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই আইন জারি করা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ কারফিউ বা সান্ধ্য আইন রয়েছে। বাংলাদেশে বিশেষ ক্ষমতা আইন; ১৯৭৪ সালের ২৪ ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে আদেশ জারির মাধ্যমে নির্দেশ করতে পারেন যেকোনও বিশেষ লিখিত অনুমতি ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এই আইন লঙ্ঘন করলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে।

কারফিউ

কারফিউ জারির কারণ

  • কোনো এলাকায় যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
  • কোনো এলাকায় যদি অপরাধের হার বেড়ে যায়, তাহলে অপরাধীদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কারফিউ জারি করা হতে পারে।
  • যুদ্ধ বা সামরিক অভিযানের সময় সামরিক বাহিনী তাদের কাজ সহজে করার জন্য কারফিউ জারি করতে পারে।
  • ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কারফিউ জারি করা হতে পারে।

কারফিউর সময় কি কি নিষিদ্ধ থাকে?

  • কারফিউর সময় সবার জন্য বাড়ির মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক।
  • কারফিউর সময় সাধারণত সকল ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে।
  • দোকানপাট বন্ধ থাকে, জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকে।
  • কোন ধরনের রাজনৈতিক বা সামাজিক কর্মসূচি অনুষ্ঠান করা নিষিদ্ধ থাকে।
  • রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা নিষিদ্ধ।

কারফিউর সময় করণীয়

  • কারফিউর সময় বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ।
  • জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য বা গুজব ছড়াবেন না।
  • সরকার কর্তৃক জারি করা নির্দেশাবলী সঠিকভাবে পালন করুন।
  • কারফিউর সময় ধৈর্য ধরে থাকুন এবং সহযোগিতা করুন।