সম্পর্ক কাকে বলে?

সম্পর্ক = সম পরিমাণ কর্তৃত্ব। যখন দুজন বা ততোধিক ব্যক্তির নিজেদের মধ্যে সমান কর্তৃত্বের অধিকার তৈরি হয় তখন সেটাই হয় সম্পর্ক। সমান কর্তৃত্ব মানে মা সন্তান শাসন করার পর সন্তানও মাকে শাসন করবে। সমান কর্তৃত্ব হলো সেটাই যেখানে মায়ের শাসনের পরও সন্তান তার কথাগুলো মায়ের কাছে উপস্থাপন করতে পারবে।

বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে জ্ঞাতি সম্পর্ক। জ্ঞাতি সম্পর্ক মানুষের বংশগতি পরিচয় ও মর্যাদা দিয়ে থাকে, বিশেষ করে সম্পত্তির মালিকানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম।

বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্নকালে পরিবার প্রথার পার্থক্য এবং বিবাহ ব্যবস্থার বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। দেশ কাল ভেদে এই পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাহের সংজ্ঞা সম্পর্কে মত পার্থক্য থাকাটা স্বাভাবিক। সাধারণভাবে বিবাহ হলো নারী পুরুষের মধ্যে যৌন মিলনের এক সমাজ অনুমোদিত উপায় এবং এক ধরনের চুক্তি।

সুতরাং বিবাহ হলো নারী ও পুরুষের যৌন সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্য অনুসৃত এক সমাজ স্বীকৃত ব্যবস্থা বিশেষ। বিবাহ স্ত্রী পুরুষের মধ্যে মোটামুটি স্থায়ী বন্ধন। তবে বিবাহের জৈবিক ও সামাজিক উভয় দিকই দিয়ে সর্বজন গৃহীত ও অপেক্ষাকৃত ব্যাপক পরিধি হিসেবে সংজ্ঞা দিয়েছেন এডওয়ার্ড ওয়েস্টারমার্ক তাঁর “History of Human Marriage” শীর্ষক গ্রন্থে বিবাহ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যে, “বিবাহ হলো এক বা একাধিক পুরুষের সংঙ্গে এক বা একাধিক স্ত্রীলোকের প্রথা আইন কর্তৃক স্বীকৃত এমন একটি সম্পর্ক যা বিবাহিত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের সন্তান সমূহের জন্য নির্দিষ্ট কতকগুলো অধিকার ও কর্তব্যের সৃষ্টি করে।”