লাহোর প্রস্তাব কাকে বলে? লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়

লাহোর প্রস্তাব কাকে বলে?

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে লিখিত ভারত মুসলিম-লীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে শাসনতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক সংকট মোকাবিলা এবং ভারতের মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন তা-ই ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে খ্যাত।

লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়

ভারতীয় মুসলমানদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং অধিকার রক্ষার জন্য ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হওয়ার পর থেকে মুসলমানদের পক্ষে কোথা বলা শুরু করে যা থেকে শুরু হয় বিভাজন। অবশেষে মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবি উঠে। এই দাবির মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়েছিল। এই দাবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যে ভাষণ দেন তা ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত। লাহোর প্রস্তাবের তিনটি প্রধান বিষয় ছিল। ১. ভারতবর্ষের প্রতিটি এলাকাকে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে। ২. উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে এমনভবে চিহ্নিত করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আলাদা স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। ৩. রাষ্ট্রগুলো সঙ্খালগু সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।