বিহিত মুদ্রা কি? বিহিত মুদ্রাকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

যে অর্থ সরকারি আইন দ্বারা পরিচালিতি এবং লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে জনগণ গ্রহণ করতে আইনগত বাধ্য তাকে বিহিত মুদ্রা বলে।

অন্যভাবে, সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট ও মুদ্রাকেই বিহিত মুদ্রা বলা হয়।

অর্থাৎ বিহিত মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা।

আমরা যদি একটি ৫ টাকার নোটের উপরের লেখাগুলো পড়ি, তাহলে দেখতে পাবো…

“চাহিবামাত্র ইহার বাহককে পাঁচ টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে।”

অন্যান্য লেখার সাথে এই লেখাটি দেখতে পাওয়া যাবে। লেখাটির কারণ হলো, এই মুদ্রা লেনদেনের নিষ্পত্তিতে কেউ গ্রহণ করতে রাজি না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি দণ্ডনীয় অপরাধ করবেন। এই ধরনের মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা বলা হয়। 

বিহিত মুদ্রা সরকারি ঘোষণা ও আইনের আওতায় প্রচলিত। বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ টাকা থেকে পাঁচশত টাকার নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে প্রচলন করে। তাই এই মুদ্রাগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।