সমস্যা সমাধান পদ্ধতি কাকে বলে?

সমস্যা মানসিক সক্রিয়তা সৃষ্টি করতে সক্ষম। বর্তমানে সমস্যা সমাধানকে এক ধরনের শিক্ষণ কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আবার, যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সমবেত প্রচেষ্টায় শিক্ষামূলক কোন অসুবিধা দূর করে তাকেই সাধারণ অর্থে বলা হয় শিক্ষামূলক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া।

এই বিশেষ কৌশলকে শিক্ষণের সামগ্রিক পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার রীতি দীর্ঘদীন প্রচলিত আছে। সক্রেটিসের শিক্ষণ পদ্ধতিতে আমরা লক্ষ্য করি, তিনি সমস্যা  সৃষ্টির পর  পর্যায়ক্রমে প্রশ্নোত্তরের সাহায্যে  তার সমাধানে অগ্রসর হতেন।

অর্থাৎ মৌলিক সমস্যা সমাধানের কৌশলই ছিল তাঁর শিক্ষণ পদ্ধতির মূল ভিত্তি। এই কৌশলকেই আধুনিক আবিষ্কারক পদ্ধতিতেও ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যার সর্বজনীন গুরুত্ব সম্পর্কে জর্জ জনসন বলেছেন-

“The best way to train the mind is to confront it with real problems and to give it the opportunity and freedom to solve them”.

বহু প্রাচীনকাল থেকে সমস্যা সমাধানের কাজের শিক্ষামূলক উপযোগিতার কথা স্বীকার করা হলেও এবং তাকে শিক্ষণ কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হলেও, স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষণ পদ্ধতি হিসাবে শিক্ষাবিজ্ঞানে তার স্বীকৃতি অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে মিলেছে। 

আধুনিক সমস্যা-সমাধান পদ্ধতির মূল ভিত্তি হলো জন ডিউই-এর চিন্তন সংক্রান্ত নীতি। এই নীতি সম্পর্কে আলোচনা করলে সমস্যা সমাধান পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিষ্কার হবে।

Leave a Comment