পরোক্ষ নির্বাচন কাকে বলে? পরোক্ষ নির্বাচনের সুবিধা ও অসুবিধা

পরোক্ষ নির্বাচন কাকে বলে?

সাধারণ ভোটারগণ যখন পরোক্ষভাবে আইনসভা বা প্রেসিডেন্ট পদে কোন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে তখন তাকে পরোক্ষ নির্বাচন বলে। বাংলাদেশের সাধারণ ভোটাররা ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত করে। এ সদস্যগণের ভোটে নির্বাচিত হন দেশের প্রেসিডেন্ট। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এরূপ পরোক্ষ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যাঁরা নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে তাঁদের নিয়েই গঠিত হয় নির্বাচনী সংস্থা (Electoral College)।

পরোক্ষ নির্বাচনের সুবিধা

  • সাধারণ ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত নির্বাচনী সংস্থা চূড়ান্ত প্র্রতিনিধি নির্বাচনে অধিকতর যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেন। কারণ, তারা অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত, সচেতন ও রাজনীতি সচেতন হন। এতে দু’বার করে নির্বাচন হওয়ায় বিবেচনার বাড়তি সুযোগ পাওয়া যায়।
  • উত্তেজনা ও আবেগ প্রশমিত করে। দ্বন্দ্ব ও সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়। প্রার্থী বাছাইয়ে যুক্তির প্রাধান্য বিস্তৃত হয়।
  • এ ব্যবস্থায় কোন রাজনৈতিক দলই কথার তুবড়িতে চূড়ান্ত ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে না। নির্বাচকগণ ধীরে সুস্থে প্রার্থীদের যোগ্যতার তুলনামূলক হিসাবনিকাশ করার সুযোগ পান।

পরোক্ষ নির্বাচনের অসুবিধা

  • চূড়ান্ত প্রতিনিধি ও প্রাথমিক ভোটারদের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান থাকায় জনসাধারণের নিকট প্রার্থীদের দায়বোধ কম থাকে। এতে গণতন্ত্রের আবেদন কমে যায়।
  • জনগণ তাদের বিচার বিবেচনা মধ্যবর্তী ভোটার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখে। এতে রাজনীতির প্রতি তাদের উৎসাহ কমে যায়। রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতার বিস্তার যথেষ্ট মাত্রায় হয় না।
  • গণতন্ত্রে দলীয় ব্যবস্থার একাধিপত্য থাকায় পরোক্ষ নির্বাচনকে অহেতুক মনে হয়। কারণ মধ্যবর্তী ভোটার ও চূড়ান্ত প্রার্থীদের সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের অনুসারী। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচন কতকটা অহেতুক মনে হয়।
  • দু’বার করে নির্বাচনের আয়োজন ব্যয় বৃদ্ধি করে।