আতশবাজি দূষণ কী? আতশবাজি কী ধরনের দূষণ ও সমস্যার সৃষ্টি করে?

আতশবাজি দূষণ কী?

আতশবাজি যেমন হাউই, ফুলঝুরি, তুবড়ি, রংমশাল ইত্যাদি পোড়ানোর ফলে নির্গত ধোঁয়া, ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ধাতব কণা থেকে যে দূষণ হয় তাকে আতশবাজি দূষণ (Fireworks pollution) বলে।

আতশবাজি কী ধরনের দূষণ ও সমস্যার সৃষ্টি করে?

আতশবাজি বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, মাটি দূষণ করে এবং জনস্বাস্থ্যের হানি করে। আতশবাজি বর্জ্য থেকে নদী ও জলাভূমির জল দূষিত হয়। ফানুস ও আতশবাজি থেকে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটে। তুবড়ির খোল ফেটে মানুষ আহত হয়, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। বিমান বন্দর এলাকায় ফানুস ওড়ানো খুব বিপজ্জনক। এতে বিমানে আগুন লাগতে পারে।

আতশবাজিতে কোন উপাদানের জন্য দূষণ সৃষ্টি হয়?

কাঠকয়লা আতশবাজিতে আগুন ধরে রাখে। কাঠকয়লা পুড়লে বায়ুদূষণের নানা উপাদান যেমন সালফার ডাইঅক্সাইড, কার্বনডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, ক্ষুদ্র কণা নির্গত হয়ে বায়ুকে দূষিত করে। আতশবাজিতে বিভিন্ন রং আনার জন্য অ্যালুমিনিয়াম যৌগ (সাদা উজ্জ্বল রঙের জন্য), বেরিয়াম নাইট্রেট (সবুজ রঙের জন্য), অ্যান্টিমনি সালফাইড (ধোঁয়া তৈরি করার জন্য) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়, যা মানুষের ত্বকের ক্ষতি করে, ফুসফুসের ক্ষতি করে, চোখের ক্ষতির করে। এছাড়া পটাশিয়াম নাইট্রেট (গান পাউডার) আতশবাজিকে আকাশে উড়তে সাহায্য করে। লেড অক্সাইড আগুনের সংস্পর্শে বোমা, পটকাকে সশব্দে ফাটিয়ে দেয়। ফলে শব্দ দূষণ হয়। কানে তালা লাগে। বুক ধড়ফড় করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীরাও আতশবাজি দূষণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

আতশবাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?

WHO প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে দেওয়ালির মরসুমে বায়ুদূষণের পরিমাণ প্রায় 29 গুণ বেড়ে যায়। এছাড়া অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মানুষ আগুনে আহত হয়। মারা যায়। শব্দের দাপটে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থােক নিয়ন্ত্রণের জন্য –

১) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় শব্দবাজির বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

২) পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নজরদারি করে।

Leave a Comment