সামাজিক রীতিনীতি কাকে বলে?
সামাজিক রীতিনীতি হল একটি সমাজে প্রচলিত আচার-অনুষ্ঠান, ধর্মীয় রীতিনীতি, নিয়ম-কানুন, বিধি-নিষেধ, বিশ্বাস বা কর্মকাণ্ড যা অধিকাংশ সাধারণ জনগণ বা সমাজ কর্তৃক উৎপত্তিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে বিনাদ্বিধায় পালন করাসহ মেনে আসছে।
প্রথার সুসংগঠিত সংজ্ঞাঃ সুদীর্ঘকাল থেকে চলমান আচার অনুষ্ঠান, ধর্মীয় রীতিনীতি, নিয়ম-কানুন,আদেশ-নিষেধ, বিশ্বাস বা কর্মকাণ্ড যা অধিকাংশ সমাজ বা সাধারণ জনগণ কর্তৃক উৎপত্তিকাল হতে যুগ যুগান্তর ধরে বিনাদ্ধিধায় কঠোরভাবে মেনে আসাকে প্রথা বলে।
সামাজিক রীতিনীতি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সমাজের শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সামাজিক রীতিনীতি সমাজের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
সামাজিক রীতিনীতির বৈশিষ্ট্য
সামাজিক রীতিনীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল:
- এগুলি ঐতিহ্যবাহী: সামাজিক রীতিনীতিগুলি প্রায়শই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসে।
- এগুলি নিয়ন্ত্রনমূলক: সামাজিক রীতিনীতিগুলি সমাজের সদস্যদের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- এগুলি সামাজিক ঐক্য বজায় রাখতে সহায়তা করে: সামাজিক রীতিনীতিগুলি সমাজের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
সামাজিক রীতিনীতির প্রকারভেদ
সামাজিক রীতিনীতির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকার হল:
- ধর্মীয় রীতিনীতি: ধর্মীয় রীতিনীতিগুলি ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
- সামাজিক রীতিনীতি: সামাজিক রীতিনীতিগুলি সমাজের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
- পারিবারিক রীতিনীতি: পারিবারিক রীতিনীতিগুলি পরিবারের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।
সামাজিক রীতিনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামাজিক রীতিনীতি সমাজের শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সামাজিক রীতিনীতি সমাজের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।