সম্পদের শ্রেণিবিভাগ

উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। আবার মালিকানার ভিত্তিতে সম্পদ চার প্রকার। উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। যথা-

১। প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া যে সব দ্রব্য মানুষের প্রয়োজন মেটায় তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- ভূমি, বনভূমি, খনিজ সম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি।

২। মানবিক সম্পদ : মানুষের মানবীয় গুণাবলিকে মানবিক সম্পদ বলা হয়। যেমন- শারীরিক যোগ্যতা, প্রতিভা, উদ্যোগ, দক্ষতা, সাংগঠনিক ক্ষমতা ইত্যাদি মানবিক সম্পদ। এগুলোর হস্তান্তরযোগ্যতা ও বাহ্যিকতা নেই বলে অর্থনীতিতে সম্পদ বলা হয় না।

৩। উৎপাদিত সম্পদ : প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে যে সম্পদ সৃষ্টি হয় তাকে মানুষের তৈরি সম্পদ বলা হয়। যেমন- কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, কলকারখানা, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি মানুষ তৈরি করে বলে এগুলো উৎপাদিত সম্পদ।

আবার মালিকানার ভিত্তিতে সম্পদকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

১। ব্যক্তিগত সম্পদ : ব্যক্তির নিজ মালিকানাধীন সকল সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে। যেমন- নিজের জমি, ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদের উদাহরণ।

২। সমষ্টিগত সম্পদ : সরকার ও জনগণের মালিকানাধীন সম্পদকে সমষ্টিগত সম্পদ বলে। যেমন- রাস্তাঘাট, পার্ক, চিড়িয়াখানা, ডাকঘর, হাসপাতাল ইত্যাদি হলো সমষ্টিগত সম্পদের উদাহরণ।

৩। জাতীয় সম্পদ : ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সম্পদের সমষ্টিকে বলা হয় জাতীয় সম্পদ। যেমন- জনগণের দক্ষতা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি সম্পদ প্রভৃতি জাতীয় সম্পদের উদাহরণ।

৪। আন্তর্জাতিক সম্পদ : যেসব সম্পদ বিশেষ কোনো দেশের মালিকানাধীন নয় বরং সব দেশই সেগুলো ভোগ করে তাকে আন্তর্জাতিক সম্পদ বলে। যেমন- সাগর, মহাসাগর, আন্তর্জাতিক নদী ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সম্পদ।