ইসলামি অর্থব্যবস্থা কী?

যে অর্থব্যবস্থায় কুরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবিকা এবং যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদিত হয়, তাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়।

ইসলামি অর্থব্যবস্থা হলো কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশাবলীর আলোকে পরিচালিত অর্থব্যবস্থা। এই অর্থব্যবস্থায় সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তা’আলা। মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে ন্যস্ত আমানত হিসেবে সম্পদ ভোগ করার অধিকারী। ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলনীতিসমূহ হলো:

  • সুদ নিষিদ্ধ: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদের কোনো স্থান নেই। সুদকে ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
  • ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়া: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়। অর্থায়নকারী ও উদ্যোক্তা উভয়েরই ঝুঁকি ভাগ করে নিতে হয়।
  • সম্পদের নৈতিক ব্যবহার: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদের নৈতিক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়। সম্পদ শুধুমাত্র নিজের ভোগের জন্য নয়, বরং সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা উচিত।

ইসলামি অর্থব্যবস্থার চারটি প্রধান উপাদান হলো:

  • ইসলামী ব্যাংকিং: ইসলামী ব্যাংকিং হলো সুদ-মুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ইসলামী ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ইসলামী আর্থিক পণ্য ও সেবা প্রদান করে, যেমন: মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা, এবং সালাম।
  • ইসলামী বীমা: ইসলামী বীমা হলো হারাম পদ্ধতি, যেমন: সুদ, লটারি, এবং জুয়া, থেকে মুক্ত বীমা ব্যবস্থা। ইসলামী বীমা কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের ইসলামী বীমা পণ্য ও সেবা প্রদান করে, যেমন: তাকাফুল, ইজারা, এবং মুদারাবা।
  • ইসলামী পুঁজিবাজার: ইসলামী পুঁজিবাজার হলো ইসলামী শরিয়াহ অনুসারে পরিচালিত পুঁজিবাজার। ইসলামী পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের ইসলামী আর্থিক পণ্য ও সেবা কেনাবেচা করা হয়, যেমন: মুদারাবা শেয়ার, ইজারা শেয়ার, এবং সালাম সার্টিফিকেট।
  • সমাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়। ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তার নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা।

ইসলামি অর্থব্যবস্থার উদ্দেশ্য হলো একটি নৈতিক ও ন্যায্য অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।

ইসলামি অর্থব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:

  • সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তা’আলা: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তা’আলা। মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে ন্যস্ত আমানত হিসেবে সম্পদ ভোগ করার অধিকারী।
  • সুদ নিষিদ্ধ: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সুদের কোনো স্থান নেই। সুদকে ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
  • ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়া: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়। অর্থায়নকারী ও উদ্যোক্তা উভয়েরই ঝুঁকি ভাগ করে নিতে হয়।
  • সম্পদের নৈতিক ব্যবহার: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদের নৈতিক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়। সম্পদ শুধুমাত্র নিজের ভোগের জন্য নয়, বরং সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা উচিত।
  • সামাজিক নৈতিকতা: ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সামাজিক নৈতিকতার উপর জোর দেওয়া হয়। এই অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

Leave a Comment