সামাজিক সাম্য বলতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, পেশা, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি নির্বিশেষে সমাজের সকল সদস্যের সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অবস্থাকে বোঝায়। একটি সামাজিক সাম্যপূর্ণ সমাজে সকল ব্যক্তির সম্মান, মর্যাদা ও মূল্য সমান।
সামাজিক সাম্যের বিভিন্ন রূপ
সামাজিক সাম্যের বিভিন্ন রূপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- আইনগত সাম্য: আইনের চোখে সকল নাগরিক সমান। তাদের সকলের আইনের সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।
- রাজনৈতিক সাম্য: সকল নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার সমান। তাদের সকলের ভোটাধিকার, নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার, সরকারি পদে চাকরির অধিকার ইত্যাদি রয়েছে।
- অর্থনৈতিক সাম্য: সকল নাগরিকের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সমান। তাদের সকলের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি সুযোগ সমান।
- সামাজিক সাম্য: সকল নাগরিকের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা সমান। তাদের সকলের সামাজিক মর্যাদা, সম্মান ইত্যাদি সমান।
সামাজিক সাম্য একটি আদর্শিক অবস্থা। বাস্তব জগতে সম্পূর্ণ সামাজিক সাম্য অর্জন করা কঠিন। তবে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সামাজিক সাম্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সামাজিক সাম্যের গুরুত্ব
- সামাজিক সাম্য একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত সমাজের ভিত্তি।
- সামাজিক সাম্য সকল নাগরিকের সম্পূর্ণ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে।
- সামাজিক সাম্য সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা কমাতে সাহায্য করে।
সামাজিক সাম্য অর্জনের উপায়
- আইনকানুনের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক বিধান বাতিল করা।
- সামাজিক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।