বচন কাকে বলে?

ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ হলো বচন। বচনের অর্থ হলো সংখ্যার ধারণা। ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বচন বলে। বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকার: একবচন ও বহুবচন।

  • একবচন: যে শব্দ দ্বারা কোন প্রাণী, বস্তু বা ব্যক্তি একটিমাত্র সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে একবচন বলে। যেমন- সে, সেটি, আমি, তুমি, এটি, তা, ওটা, ইত্যাদি।
  • বহুবচন: যে শব্দ দ্বারা কোন প্রাণী, বস্তু বা ব্যক্তি একের অধিক অর্থাৎ বহু সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে বহুবচন বলে। যেমন- তারা, ওরা, আমরা, তোমরা, এরা, ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের বচনভেদ হয়। কোনো কোনো সময় টা, টি, খানা, খানি, ইত্যাদি যোগ করে বিশেষ্যর একবচন নির্দেশ করা হয়। যেমন- গরুটা, বাছুরটা, কলমটা, খাতাখানা, বইখানা ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় বহুবচন প্রকাশের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন:

  • রা প্রত্যয়: উন্নত প্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে রা প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন হয়। যেমন- ছাত্ররা, শিক্ষকরা, ডাক্তারা, ইত্যাদি।
  • গুলো প্রত্যয়: অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে গুলো প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন হয়। যেমন- গাছগুলো, ঘরগুলো, বইগুলো, ইত্যাদি।
  • গুলা প্রত্যয়: অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে গুলা প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন হয়। যেমন- টাকাগুলা, ঘুড়িগুলা, ইত্যাদি।
  • ইত্যাদি প্রত্যয়: অপ্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে ইত্যাদি প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন হয়। যেমন- লোকজন ইত্যাদি।
  • সমষ্টিবোধক শব্দ: সমষ্টিবোধক শব্দ ব্যবহার করেও বহুবচন প্রকাশ করা যায়। যেমন- সব ছেলে, সকল ছাত্রী, ইত্যাদি।

বচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক ধারণা। বচনের মাধ্যমে আমরা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত ধারণার সংখ্যার সম্পর্কে অবগত হতে পারি।