যে মাটিতে পলি ও কাদার অপেক্ষা বালু পরিমাণ বেশি থাকে তাকে বেলে মাটি বলে। বেলে মাটিতে বালির কণাগুলির আকার ০.০৫ মিলিমিটার থেকে ২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণও কম থাকে।
বেলে মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
- বেলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম।
- বেলে মাটিতে বাতাস চলাচলের ক্ষমতা বেশি।
- বেলে মাটিতে শিকড়ের প্রসারণ সহজ।
- বেলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম।
বেলে মাটিতে সাধারণত ধান, পাট, গম, ভুট্টা, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি ফসল ভালো জন্মে। তবে বেলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় সেচের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে, নদীর তীরে এবং শুষ্ক অঞ্চলে বেলে মাটি বেশি দেখা যায়।
বেলে মাটির উন্নয়নের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। জৈব সার প্রয়োগ করলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জৈব পদার্থের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, বেলে মাটিতে বালির কণার মধ্যে মাটি ধরে রাখার জন্য লাইম বা চুন প্রয়োগ করা যেতে পারে।