ইজমা কাকে বলে?
ইজমা হলো ইসলামী আইনশাস্ত্রের একটি উৎস। এটি হলো সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বা বিশেষভাবে মুসলিম পণ্ডিতদের সার্বজনীন এবং অভ্রান্ত চুক্তি। ইজমাকে কুরআন ও সুন্নাহর পরে তৃতীয় উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইজমার সংজ্ঞা নিম্নরূপ:
আভিধানিক অর্থ: ঐক্যমত্য
শরীয়াহর পরিভাষায়: কোন বিষয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বা বিশেষভাবে মুসলিম পণ্ডিতদের সার্বজনীন এবং অভ্রান্ত চুক্তি।
ইজমার শর্তাবলী
- সম্মিলিত মতামত: ইজমা হলো সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বা বিশেষভাবে মুসলিম পণ্ডিতদের সার্বজনীন মতামত।
- জ্ঞান ও যোগ্যতা: ইজমার জন্য প্রয়োজন যে সমস্ত ব্যক্তির ঐকমত্য রয়েছে তারা বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান ও যোগ্যতাসম্পন্ন হন।
- নিরপেক্ষতা: ইজমার জন্য প্রয়োজন যে সমস্ত ব্যক্তির ঐকমত্য রয়েছে তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিরপেক্ষ হন এবং তাদের সিদ্ধান্তে কোন প্রকার অন্যায় বা অবিচার না থাকে।
ইজমার প্রকারভেদ
- সাহাবাদের ইজমা: নবীর সাহাবীদের সমসাময়িক মতামত সর্বাধিক প্রামাণিক বলে বিবেচিত হত এবং এটি বাতিল বা পরিবর্তন করা যায় না।
- ফকীহদের ইজমা: এটি ছিল ফকীহদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত (সাহাবী ছাড়া)।
- সাধারণ মুসলিমদের ইজমা: এটি হলো সাধারণ মুসলিমদের ঐকমত্য, যা সাধারণত ফকীহদের দ্বারা অনুমোদিত হয়।
ইজমার গুরুত্ব
- শরীয়াহর একটি উৎস: ইজমা হলো ইসলামী আইনশাস্ত্রের একটি উৎস।
- সংশোধনমূলক উপায়: ইজমা হলো কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীত কোন বিধানকে সংশোধন করার একটি উপায়।
- ঐক্য ও সংহতির প্রতীক: ইজমা হলো মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।
ইজমা একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীয়াহর উৎস। এটি মুসলিমদের জন্য একটি ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।