একটি সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো:

  • আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন, “আমি” বললে বুঝা যায় যে কেউ একজন কিছু বলছে, কিন্তু “আমি স্কুলে যাই” বললে বুঝা যায় যে কেউ একজন স্কুলে যাচ্ছে।
  • আসত্তি: বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমন, “আমার একটি কালো কলম আছে” বললে বাক্যের অর্থ বোঝা যায়, কিন্তু “আমার কলম একটি কালো আছে” বললে বাক্যের অর্থ বোঝা যায় না।
  • যোগ্যতা: বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত এবং ভাবগত মেলবন্ধনকে যোগ্যতা বলে। যেমন, “আমি স্কুলে যাই” বললে বাক্যের অর্থ বোঝা যায়, কিন্তু “আমি স্কুলে রান করি” বললে বাক্যের অর্থ বোঝা যায় না।

এছাড়াও, একটি সার্থক বাক্যের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:

  • পূর্ণতা: বাক্যের মধ্যে এমন সব পদ থাকা উচিত যা দ্বারা বাক্যের অর্থ পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়। যেমন, “আমি স্কুলে যাই” বললে বাক্যের অর্থ পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়, কিন্তু “আমি স্কুলে” বললে বাক্যের অর্থ পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় না।
  • সঠিকতা: বাক্যের মধ্যে এমন সব পদ এবং পদবিন্যাস থাকা উচিত যা ভাষার নিয়ম অনুসারে সঠিক। যেমন, “আমি স্কুলে যাচ্ছি” বললে বাক্যের অর্থ এবং পদবিন্যাস উভয়ই সঠিক, কিন্তু “আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম” বললে বাক্যের অর্থ সঠিক, কিন্তু পদবিন্যাস ভুল।
  • স্পষ্টতা: বাক্যের অর্থ এমনভাবে প্রকাশিত হওয়া উচিত যাতে শ্রোতা বা পাঠক সহজেই বুঝতে পারে। যেমন, “আমি স্কুলে যাই” বললে বাক্যের অর্থ স্পষ্ট, কিন্তু “আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম” বললে বাক্যের অর্থ কিছুটা অস্পষ্ট।

উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির কোনো একটি বা একাধিক বৈশিষ্ট্য না থাকলে বাক্যটি সার্থক বাক্য হবে না।