উদ্দেশ্য: ডেঙ্গু রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি করা এবং রোগের জটিলতা রোধ করা।
খাবারের ধরন
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: ভাত, রুটি, আলু, ফলমূল
- ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার: শাকসবজি, ফলমূল
খাবারের পরিমাণ
- দিনের বেলায়: চার থেকে পাঁচটি ছোট খাবার
- রাতের বেলায়: দুটি বড় খাবার
খাবারের উদাহরণ
- ব্রেকফাস্ট: দুধ, ওটমিল, ডিম, ফলমূল
- দুপুরের খাবার: ভাত, মাছ বা মাংসের ঝোল, শাকসবজি
- বিকেলে: ফলমূল, দুধ
- রাতের খাবার: ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস
বর্জনীয় খাবার
- তেল-মসলাজাতীয় খাবার: অতিরিক্ত তেল-মসলাজাতীয় খাবার পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া করে এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- কাঁচা খাবার: কাঁচা খাবার থেকে খাদ্যবাহিত রোগের সংক্রমণ হতে পারে।
- ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুডে প্রায়ই অতিরিক্ত তেল, চিনি এবং লবণ থাকে, যা ডেঙ্গু রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
খাবার খাওয়ার সময়
- খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিত।
- খাবার ঠান্ডা বা হালকা গরম করে খাওয়া উচিত।
- খাবার খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
খাবারের উপকারিতা
- প্রোটিন রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির চাহিদা পূরণ করে।
- ভিটামিন ও খনিজ রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি করে।
খাবারের সতর্কতা
- ডেঙ্গু রোগীর খাবার খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ডেঙ্গু রোগী যদি বমি বা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে তরল খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
ডেঙ্গু রোগীর খাবার খাওয়ার কিছু টিপস
- খাবার তৈরি করার সময় ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা উচিত।
- খাবার সংরক্ষণের জন্য ভালোভাবে ঢেকে রাখা উচিত।
- খাবার পরিবেশনের আগে ভালোভাবে গরম করা উচিত।
ডেঙ্গু রোগীর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব।