পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস, যা অর্শ্বরোগ নামেও পরিচিত, মলদ্বার এবং মলদ্বার রক্তনালীর প্রদাহ বা ফোলা। এটি ব্যথা, চুলকানি এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে। পাইলস সাধারণত ছোট এবং কয়েক দিনের মধ্যে নিজে থেকেই দূর হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, পাইলস দীর্ঘস্থায়ী বা পুনরাবৃত্ত হতে পারে।

পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • হাইড্রেটেড থাকা: প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা মলকে নরম করতে সাহায্য করে, যা মলত্যাগের সময় চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার মলকে নরম করতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফল, পুরো শস্য এবং ডাল।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম মলত্যাগের সময় চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • অতিরিক্ত চাপ এড়ানো: মলত্যাগের সময় চাপ বাড়ানো পাইলসের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • মলদ্বার এলাকায় ঠান্ডা সংকোচন লাগানো: ঠান্ডা সংকোচন মলদ্বার এলাকায় ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
  • ওটমিল বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মলদ্বার এলাকায় অ্যাপ্লিকেশন করা: ওটমিল এবং অ্যালোভেরা জেল মলদ্বার এলাকায় ব্যথা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।

পাইলসের জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে:

  • একটি ঠান্ডা সংকোচন: একটি তোয়ালে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন এবং মলদ্বার এলাকায় 10-15 মিনিটের জন্য প্রয়োগ করুন।
  • ওটমিল বা অ্যালোভেরা জেল: ওটমিল বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং মলদ্বার এলাকায় প্রয়োগ করুন।
  • রসুন: একটি রসুন কোয়া মলদ্বার এলাকায় প্রয়োগ করুন।
  • পেঁয়াজ: একটি পেঁয়াজ কুচি করে নিন এবং মলদ্বার এলাকায় প্রয়োগ করুন।
  • আপেল সিডার ভিনেগার: একটি বাটিতে আপেল সিডার ভিনেগার এবং জল সমান অনুপাতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মলদ্বার এলাকায় টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে নিন এবং মলদ্বার এলাকায় প্রয়োগ করুন।

এই ঘরোয়া চিকিৎসাগুলি পাইলসের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, যদি আপনার লক্ষণগুলি কয়েক দিনের মধ্যে না কমে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা পাইলসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে:

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • হাইড্রেটেড থাকুন।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলুন।
  • যখনই সম্ভব, নরম কাগজ ব্যবহার করুন।
  • মলদ্বার এলাকা পরিষ্কার রাখুন।