অ্যান্টিজেন কাকে বলে?
অ্যান্টিজেন হল এমন একটি পদার্থ যা ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি একটি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, লিপিড বা নিউক্লিক অ্যাসিড হতে পারে। অ্যান্টিজেনগুলি সাধারণত জীবাণু, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী থেকে আসে। তবে, তারা শরীরের নিজের কোষ থেকেও আসতে পারে, যেমন ক্যান্সার কোষ।
ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিজেনগুলিকে শরীরের জন্য বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে। এটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা অ্যান্টিজেনগুলিকে আবদ্ধ করে এবং ধ্বংস করে। অ্যান্টিবডিগুলি প্রোটিন যা ইমিউন সিস্টেমের কোষগুলি দ্বারা তৈরি হয়।
অ্যান্টিজেনগুলির বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কিছু অ্যান্টিজেন খুব নির্দিষ্ট, যেমন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন। অন্য অ্যান্টিজেনগুলি কম নির্দিষ্ট, যেমন একটি জীবাণু পরিবারের সমস্ত সদস্যের প্রোটিন।
অ্যান্টিজেনগুলির কিছু উদাহরণ হল:
- ব্যাকটেরিয়ার কোষের প্রাচীর
- ভাইরাসের প্রোটিন ক্যাপসিড
- পরজীবীর ডিএনএ
- শরীরের নিজের কোষের একটি প্রোটিন যা ক্যান্সার কোষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়
অ্যান্টিজেনগুলি ইমিউন প্রতিক্রিয়াগুলির জন্য অপরিহার্য। তারা আমাদের শরীরকে ক্ষতিকারক পদার্থগুলি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিজেন কত প্রকার ও কি কি?
অ্যান্টিজেনকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
উৎস অনুসারে:
- বাহ্যিক অ্যান্টিজেন: শরীরের বাইরে থেকে আসা অ্যান্টিজেন। যেমন: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী, খাদ্য, ঔষধ, ধূলিকণা, ইত্যাদি।
- অভ্যন্তরীণ অ্যান্টিজেন: শরীরের নিজের কোষ বা টিস্যু থেকে উৎপন্ন অ্যান্টিজেন। যেমন: ক্যান্সার কোষ, অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে আক্রান্ত কোষ, ইত্যাদি।
রাসায়নিক গঠন অনুসারে:
- প্রোটিন অ্যান্টিজেন: প্রোটিন দিয়ে তৈরি অ্যান্টিজেন। সবচেয়ে বেশি পরিচিত অ্যান্টিজেন হল প্রোটিন অ্যান্টিজেন।
- কার্বোহাইড্রেট অ্যান্টিজেন: কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি অ্যান্টিজেন।
- লিপিড অ্যান্টিজেন: লিপিড দিয়ে তৈরি অ্যান্টিজেন।
- নিউক্লিক অ্যাসিড অ্যান্টিজেন: নিউক্লিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি অ্যান্টিজেন।