আধুনিক অর্থায়নের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০-এর দশক থেকে। এই সময়কালে, অর্থায়ন একটি নতুন বিষয় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এটি একটি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
আধুনিক অর্থায়নের বিকাশের জন্য নিম্নলিখিত ঘটনাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
- কম্পিউটারের বিকাশ: কম্পিউটারের বিকাশ অর্থায়ন বিশ্লেষণের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে। কম্পিউটারগুলি ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ হাতে করা গণনাগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে পারে।
- নতুন অর্থনৈতিক তত্ত্বের বিকাশ: নতুন অর্থনৈতিক তত্ত্বগুলি অর্থায়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নতুন ভিত্তি প্রদান করে। এই তত্ত্বগুলির মধ্যে রয়েছে মূলধনের মূল্য তত্ত্ব, ঝুঁকি-মুনাফা তত্ত্ব, এবং বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের তত্ত্ব।
- অর্থায়ন শিক্ষার বিকাশ: অর্থায়ন শিক্ষার বিকাশ আধুনিক অর্থায়নের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থায়ন শিক্ষার মাধ্যমে, নতুন তত্ত্ব এবং ধারণাগুলি অর্থায়ন পেশাদারদের কাছে পৌঁছে যায়।
আধুনিক অর্থায়নের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল:
- মূলধনের মূল্য তত্ত্ব: এই তত্ত্ব অনুসারে, একটি ব্যবসায়ের সম্পদের মূল্য তার ভবিষ্যতের আয়ের প্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান।
- ঝুঁকি-মুনাফা তত্ত্ব: এই তত্ত্ব অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত মুনাফা দাবি করে।
- বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের তত্ত্ব: এই তত্ত্ব অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা তাদের আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য তাদের বিনিয়োগগুলিকে বন্টন করে।
আধুনিক অর্থায়ন ব্যবসায় এবং অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি ব্যবসায়ের তহবিল সংগ্রহ, ব্যবহার, এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।