অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে? প্রকারভেদ, কিভাবে তৈরি হয়? নেভানোর পদ্ধতি

অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে?

অগ্নিকাণ্ড হল এমন একটি ঘটনা যেখানে দাহ্য পদার্থের সাথে অক্সিজেন এবং তাপের সংমিশ্রণে আগুনের সৃষ্টি হয় এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সম্পত্তির ক্ষতি, প্রাণহানি, এবং পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে।

অগ্নিকাণ্ড কত প্রকার ও কি কি?

আন্তর্জাতিক অগ্নিকাণ্ড শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, অগ্নিকাণ্ডকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়:

  • শ্রেণী A: কঠিন জ্বালানীর অগ্নিকাণ্ড, যেমন কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, ইত্যাদি।
  • শ্রেণী B: তরল জ্বালানীর অগ্নিকাণ্ড, যেমন পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, ইত্যাদি।
  • শ্রেণী C: গ্যাসীয় জ্বালানীর অগ্নিকাণ্ড, যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, এলপিজি, ইত্যাদি।
  • শ্রেণী D: ধাতব জ্বালানীর অগ্নিকাণ্ড, যেমন ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ইত্যাদি।

এছাড়াও, কিছু দেশে অগ্নিকাণ্ডের আরও কিছু শ্রেণী রয়েছে।

যেমন:

  • শ্রেণী E: বৈদ্যুতিক অগ্নিকাণ্ড।
  • শ্রেণী F: রান্নার তেলের অগ্নিকাণ্ড।

আগুন কিভাবে তৈরি হয়?

আগুন তৈরির জন্য তিনটি উপাদানের প্রয়োজন হয়:

  • দাহ্য পদার্থ: আগুনের জন্য একটি দাহ্য পদার্থ প্রয়োজন, যেমন কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, তেল, গ্যাস, ইত্যাদি।
  • অক্সিজেন: আগুনের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। বাতাসে প্রায় 21% অক্সিজেন থাকে।
  • তাপ: আগুনের জন্য তাপ প্রয়োজন। দাহ্য পদার্থের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় পৌঁছলে আগুন জ্বলে উঠতে পারে।

এই তিনটি উপাদান একসাথে থাকলে এবং তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছলে আগুন জ্বলে উঠবে।

আগুন নেভানোর পদ্ধতি প্রধানত কত প্রকার?

আগুন নেভানোর জন্য তিনটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে:

  • স্টার্ভেশন: এই পদ্ধতিতে আগুনের কাছে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, জ্বলন্ত আগুনের উপরে একটি কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
  • স্মোডারিং: এই পদ্ধতিতে আগুনের তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, জ্বলন্ত আগুনের উপরে জল বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করা।
  • কুলিং: এই পদ্ধতিতে আগুনের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমিয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, জ্বলন্ত আগুনের উপরে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড বা কার্বন ডাই অক্সাইড ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করা।

আগুন নেভানোর জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে আগুনের প্রকৃতি এবং অবস্থার উপর।