শ্রেণি ব্যবধান কাকে বলে? নির্ণয়ের সূত্র, গুরুত্ব, প্রকারভেদ, ব্যবধান নির্ধারণ

শ্রেণি ব্যবধান কাকে বলে?

শ্রেণি ব্যবধান হল একই শ্রেণির মধ্যে থাকা তথ্যের মানসমূহের মধ্যে দূরত্ব। শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষেত্রে, শ্রেণি ব্যবধান হল একই শ্রেণির মধ্যে থাকা দুটি পরপর স্তরের মধ্যে দূরত্ব।

শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয়ের সূত্র হল:

শ্রেণি ব্যবধান = (সর্বোচ্চ মান – সর্বনিম্ন মান) / (শ্রেণিসংখ্যা)

যেখানে,

সর্বোচ্চ মান হল শ্রেণিবিন্যাসের সর্বোচ্চ মান

সর্বনিম্ন মান হল শ্রেণিবিন্যাসের সর্বনিম্ন মান

শ্রেণিসংখ্যা হল শ্রেণিবিন্যাসের শ্রেণিসংখ্যা

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক, একটি শ্রেণিবিন্যাসের সর্বোচ্চ মান 100 এবং সর্বনিম্ন মান 20। যদি শ্রেণিসংখ্যা 5 হয়, তাহলে শ্রেণি ব্যবধান হবে:

শ্রেণি ব্যবধান = (100 – 20) / (5) = 20

অর্থাৎ, এই শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিটি শ্রেণির মানসমূহের মধ্যে দূরত্ব 20 হবে।

শ্রেণি ব্যবধান শ্রেণিবিন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শ্রেণিবিন্যাসের স্পষ্টতা এবং নির্ভুলতা নির্ধারণে ভূমিকা পালন করে। শ্রেণি ব্যবধান যত ছোট হবে, শ্রেণিবিন্যাসের স্পষ্টতা এবং নির্ভুলতা তত বেশি হবে। তবে, শ্রেণি ব্যবধান অতিরিক্ত ছোট হলে তা শ্রেণিবিন্যাসের জটিলতা বৃদ্ধি করে।

শ্রেণি ব্যবধানের গুরুত্ব

  • শ্রেণি ব্যবধান তথ্যগুলোকে সহজে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে।
  • শ্রেণি ব্যবধান তথ্যগুলোর মধ্যে বিস্তৃতি পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
  • শ্রেণি ব্যবধান তথ্যগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

শ্রেণি ব্যবধানের প্রকারভেদ

  • সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রেণি ব্যবধান: এক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রেণির শ্রেণি ব্যবধান সমান হয়।
  • অসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রেণি ব্যবধান: এক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রেণির শ্রেণি ব্যবধান সমান হয় না।

সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রেণি ব্যবধান ব্যবহার করলে তথ্যগুলোর মধ্যে বিস্তৃতি পরিমাপ করা সহজ হয়। তবে, অসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রেণি ব্যবধান ব্যবহার করলে তথ্যগুলোকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়।

শ্রেণি ব্যবধান নির্ধারণ

শ্রেণি ব্যবধান নির্ধারণ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • শ্রেণি ব্যবধান যথেষ্ট বড় হওয়া উচিত যাতে প্রতিটি শ্রেণিতে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য থাকে।
  • শ্রেণি ব্যবধান যথেষ্ট ছোট হওয়া উচিত যাতে শ্রেণিগুলি তথ্যের মধ্যে থাকা পরিবর্তনগুলিকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে।

শ্রেণি ব্যবধান নির্ধারণ করা পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত পরিমাপ, যেমন পরিসর, মধ্যমা, পরিমিত ব্যবধান ইত্যাদি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।