ব্রেন টিউমারের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্রেন টিউমারের জন্য নিম্নলিখিত কারণগুলো দায়ী হতে পারে:
জেনেটিক কারণ: ব্রেন টিউমারের একটি বড় অংশের জন্য জেনেটিক কারণ দায়ী। কিছু পরিবারে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
বিকিরণের প্রভাব: বিকিরণের প্রভাবেও ব্রেন টিউমার হতে পারে। যেমন, তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যারা পারমাণবিক বিপর্যয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বা যারা কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
কিছু ভাইরাস: কিছু ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেও ব্রেন টিউমার হতে পারে। যেমন, হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, ইপস্টিন-বার ভাইরাস এবং এইচআইভি।
অন্যান্য কারণ: কিছু ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের কারণ হিসেবে অন্যান্য কারণগুলোও দায়ী হতে পারে। যেমন, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এবং কিছু জন্মগত ত্রুটি।
ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলো সাধারণত টিউমারের আকার এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব বা বমি
- দৃষ্টি সমস্যা
- শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অবশতা
- কথোপকথনের সমস্যা
- স্মৃতিশক্তি হ্রাস
- আচরণগত পরিবর্তন
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, আকার এবং অবস্থানের উপর।
চিকিৎসার বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- সার্জারি: টিউমার অপসারণ করা হলো ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
- রেডিওথেরাপি: টিউমারের কোষ ধ্বংস করার জন্য বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
- কেমোথেরাপি: টিউমারের কোষ ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- টার্গেটেড থেরাপি: টিউমারের কোষের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে লক্ষ্য করে ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার লক্ষ্য হলো টিউমার অপসারণ করা, টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।