পরিবহন বিভিন্ন ধরনের উপযোগ সৃষ্টি করে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে তোলে। এই উপযোগগুলোকে আমরা মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি:
১) স্থানিক উপযোগ (Place Utility):
- দূরবর্তী স্থানে পণ্য পরিবহন: পরিবহনের মাধ্যমে আমরা একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারি। এতে পণ্যের চাহিদা থাকা স্থানে সরবরাহ নিশ্চিত করা হয় এবং পণ্যের মূল্যও কমে যায়।
- উৎপাদন ও বাজারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন: পরিবহন উৎপাদককে তার পণ্য বাজারে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে এবং গ্রাহককে তার পছন্দসই পণ্য কিনতে সুযোগ করে দেয়।
২) কালিক উপযোগ (Time Utility):
- সময় বাঁচায়: পরিবহনের মাধ্যমে আমরা দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারি, ফলে আমাদের সময় বাঁচে।
- তাজা পণ্যের সরবরাহ: নষ্ট হয়ে যায় এমন খাদ্যসামগ্রী দ্রুত পরিবহন করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
৩) রূপান্তর উপযোগ (Form Utility):
- পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি: কাঁচামালকে পরিবহন করে প্রক্রিয়াকরণের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তৈরি পণ্যকে বাজারে পৌঁছে দেওয়া হয়, যার ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
- নতুন পণ্য সৃষ্টি: বিভিন্ন স্থান থেকে আনা কাঁচামালকে একত্রিত করে নতুন পণ্য তৈরি করা হয়।
পরিবহন মানুষ ও পণ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি আমাদেরকে স্থানিক, কালিক এবং রূপান্তর উপযোগ প্রদান করে, যা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।