আর্টিকেলটিতে মিয়েন্ডার কাকে বলে? মিয়েন্ডারের বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ ও গুরুত্ব খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।
মিয়েন্ডার কাকে বলে?
মিয়েন্ডার হলো নদীর বাঁক। এটি একটি সর্পিলাকার আকৃতির বাঁক, যা নদীর গতিপথের পরিবর্তনের ফলে গঠিত হয়। মিয়েন্ডার সাধারণত সমভূমি অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে নদীর গতিপথের ঢাল কম থাকে।
মিয়েন্ডারের বৈশিষ্ট্য
- মিয়েন্ডারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর সর্পিলাকার আকৃতির।
- মিয়েন্ডার সাধারণত দুইটি শৈলখণ্ডের মধ্যবর্তী স্থানে গঠিত হয়।
- এগুলির ব্যাস সাধারণত কয়েক কিলোমিটার থেকে কয়েক মাইল পর্যন্ত হয়।
- মিয়েন্ডারগুলি নদীর প্রবাহকে ধীর করে দেয়।
- নদীর প্রবাহের ফলে এই শৈলখণ্ডগুলির মধ্যে একটি শৈলখণ্ডের দিকে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ফলে নদীর গতিপথে একটি বাঁক গঠিত হয়।
মিয়েন্ডারের কয়েকটি উদাহরণ
- বাংলাদেশের পদ্মা নদী
- ভারতের গঙ্গা নদী
- মিশরের নীলনদ
- যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদী
মিয়েন্ডার নদীর প্রভাব
মিয়েন্ডার নদীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
মিয়েন্ডার নদীর মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ফলে নদীর উজানে এবং নিচের অংশের মাঝে উচ্চতা পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এটি নদীর তীরে ভাঙন এবং পলি জমার কারণ হয়। মিয়েন্ডার নদীর মাধ্যমে নদীর উজানের পলি নিচের অংশে চলে আসে। এটি নদীর নিম্ন অংশের ভূমি উঁচু করে তোলে।
মিয়েন্ডার নদীর সৃষ্টি এবং প্রভাব সম্পর্কে আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদেরকে নদীর প্রকৃতি এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে।
মিয়েন্ডারগুলি প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি নদীর পানিকে পরিশোধন করে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।