জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে? জনক, সুবিধা, গুরুত্ব

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো জীবের জিনোম (DNA) কে কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া।  এটি বংশাণু প্রকৌশল নামেও পরিচিত।  এই প্রক্রিয়ায় জীবের জিনের ক্রম পরিবর্তন করে তাদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক কে?

অ্যান্ড্রু লি (Andrew L.) এবং স্ট্যানলি কোহেন (Stanley Cohen) কে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনক বলা হয়।  ১৯৭৩ সালে তারা প্রথম রিকম্বিনেন্ট DNA তৈরি করতে সক্ষম হন।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধা/গুরুত্ব

  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে: জিন থেরাপি, ভ্যাকসিন উৎপাদন, ইনসুলিন, হিউম্যান গ্রোথ হরমোন ইত্যাদি উৎপাদন।
  • কৃষিক্ষেত্রে: উন্নত বীজ উৎপাদন, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধী ফসল উৎপাদন।
  • পরিবেশগত দিক থেকে: জৈব জ্বালানি উৎপাদন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ।
  • অন্যান্য ক্ষেত্রে: নতুন নতুন ওষুধ উৎপাদন, জৈব সার উৎপাদন, খাদ্য সংরক্ষণ।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ধাপ গুলি কি কি?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ধাপ গুলি হলোঃ

  • জিন নির্বাচন: প্রথমে কাঙ্ক্ষিত জিন নির্বাচন করা হয়।
  • জিন ক্লোনিং: নির্বাচিত জিন কে একটি বাহক DNA -তে স্থাপন করা হয়।
  • জিন স্থানান্তর: বাহক DNA কে পোষক জীবের (host organism) কোষে স্থানান্তর করা হয়।
  • জিন প্রকাশ: পোষক জীবের কোষে স্থানান্তরিত জিন প্রকাশিত হয় এবং নতুন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।
  • নির্বাচন: পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীব নির্বাচন করা হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রযুক্তি।  এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে মানবজাতির উন্নয়নে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।  তবে এর অপব্যবহারের ফলে অনেক ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে।  তাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।