জনসংখ্যার ঘনত্ব কাকে বলে?

সাধারণভাবে ঘনত্ব বলতে কোনো বস্তুর উপাদানগত সংবদ্ধতা বা দৃঢ়তাকে বুঝানো হয়ে থাকে। তবে জনসংখ্যার ঘনত্ব হলো কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে সংঘবদ্ধ অবস্থানের নিবিড়তা। জনসংখ্যা বণ্টনের পার্থক্য জানার জন্য জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয় করা হয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব বর্গমাইল বা বর্গকিলোমিটারে প্রকাশ করা হয়। কোনো অঞ্চল বা দেশের আয়তনকে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে জনসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায়।

জনসংখ্যার ঘনত্ব বলতে নির্দিষ্ট স্থান বা দেশে মানুষের সংঘবদ্ধ অবস্থানের নিবিড়তা বুঝায়। এই ঘনত্বের দ্বারা ভূমির উপর জনসংখ্যার চাপের মাত্রা প্রকাশ পেয়ে থাকে। কোন এলাকা বা দেশের আয়তন বা ক্ষেত্রফল দ্বারা মোট জনসংখ্যাকে ভাগ করে জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয় করা হয়। এই ঘনত্ব একর, বর্গ কি.মি. বা বর্গ মাইলে প্রতিফলিত হয়।

সহজ কথায়, এটি একটি এলাকায় জনগণ কতটা ঘনভাবে বসবাস করে তার একটি নির্দেশক।

জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয়ের সূত্র

জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয়ের সূত্রটি হলো:
জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা ÷ মোট আয়তন

জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে পৃথিবীকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা যেতে পারে। যথা-
১. নিবিড় জনসংখ্যা অঞ্চল; ২. পরিমিত জনসংখ্যা অঞ্চল; ৩. বিরল জনসংখ্যা অঞ্চল এবং ৪. প্রায় জনহীন অঞ্চল।

জনসংখ্যার ঘনত্ব কেন গুরুত্বপূর্ণ?

জনসংখ্যার ঘনত্ব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক তথ্য। এটি কোনো অঞ্চলের অর্থনীতি, সমাজ, পরিবেশ এবং অবকাঠামোর উপর গভীর প্রভাব ফেলে। উচ্চ জনঘনত্বের অঞ্চলে সাধারণত বেশি শিল্পায়ন, বাণিজ্য এবং পরিবহন ব্যবস্থা থাকে। অন্যদিকে, নিম্ন জনঘনত্বের অঞ্চলে কৃষি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার বেশি হতে পারে।

জনসংখ্যার ঘনত্বের উপর কী কী বিষয় প্রভাব ফেলে?

জনসংখ্যার ঘনত্ব বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, মৃত্তিকা, খনিজ সম্পদ, শিল্পায়ন, বাণিজ্য, পরিবহন, সরকারের নীতি ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, উপযুক্ত জলবায়ু, উর্বর মৃত্তিকা এবং পর্যাপ্ত জলের সুবিধা সম্পন্ন অঞ্চলে সাধারণত জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশি হয়।

Leave a Comment