আমাদের পৃথিবীতে এমন কোনো স্থান খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এমন স্থান অবশ্যই আছে। যদি স্মরণে থাকে যে, পৃথিবীর চুম্বক মেরুদ্বয় ওর ভৌগলিক মেরুদ্বয় এর সজ্গে মেশে না। তাহলে বুঝতে সুবিধে হয় যে, আমি কোন্ স্থানের কথা বলছি।
ভৌগলিক দক্ষিণ মেরুতে রাখলে চুম্বক কাঁটা কোন্ দিকে মুখ করে থাকবে? ওর একপ্রান্ত সন্নিকটস্থ চুম্বকমেরুর দিকে মুখ করে থাকবে এবং অপর প্রান্ত থাকবে বিপরীত চুম্বক মেরুর মুখো হয়ে। কিন্তু ভৌগলিক দক্ষিণ মেরু থেকে যে দিকে যাওয়া যাক না কেন, আমাদেরকে সবসময়ই উত্তর দিকে যেতে হবে।।
প্রকৃত পক্ষে উত্তর দিক ছাড়া অন্য কোনো দিকে যাওয়ার উপায় নেই । ফলে সেখানে চুম্বক কাঁটার উভয় প্রান্তই উত্তর-মুখো হবে। অনুরূপে ভৌগলিক উত্তর মেরুতে চুম্বক কাটার উভয় প্রান্তই দক্ষিণ মুখো হবে।
পৃথিবীর দুটি বিন্দুতে চুম্বক কাঁটার উভয় প্রান্তই উত্তর-মুখো হবে। এই বিন্দুগুলোকে “চৌম্বক মেরু” বলা হয়।
উত্তর চৌম্বক মেরু:
- এটি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং ভৌগোলিক উত্তর মেরু থেকে প্রায় 1,600 কিলোমিটার দূরে।
দক্ষিণ চৌম্বক মেরু:
- এটি দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত এবং ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় 2,800 কিলোমিটার দূরে।
- চৌম্বক মেরুগুলো স্থির নয় এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
কারণ:
- পৃথিবীর তরল বহিরাগণীয় কোরের ঘূর্ণন পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে।
- এই তরল কোরের গতি ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, যার ফলে চৌম্বক মেরুগুলোর অবস্থানও পরিবর্তিত হয়।
উল্লেখ্য:
- চৌম্বক মেরুগুলো ভৌগোলিক মেরু থেকে ভিন্ন।
- ভৌগোলিক মেরুগুলো স্থির, তবে চৌম্বক মেরুগুলো স্থির নয়।
- চুম্বক কাঁটা ভৌগোলিক উত্তর-দক্ষিণ দিক নির্দেশ করে, তবে চৌম্বক মেরু নির্দেশ করে না।