কোলেস্টেরল হল একটি চর্বিজাতীয় পদার্থ যা কোষের ঝিল্লি, হরমোন, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরে দুটিভাবে তৈরি হয়: যকৃতে এবং খাদ্য থেকে।
কোলেস্টেরল তিনটি প্রধান ধরনের
- লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL): এটিকে “খারাপ” কোলেস্টেরল বলা হয় কারণ এটি রক্তনালীতে জমা হতে পারে এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (HDL): এটিকে “ভাল” কোলেস্টেরল বলা হয় কারণ এটি রক্তনালী থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে ফেলে।
- ট্রাইগ্লিসারাইডস: এটি একটি ধরণের চর্বি যা রক্তনালীতেও জমা হতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য একটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাটি সাধারণত একটি রক্ত পরীক্ষা হিসাবে করা হয় যা কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস এবং অন্যান্য লিপিডের মাত্রা পরিমাপ করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।
- ব্যায়ামে অংশগ্রহণ করা: ব্যায়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ করা বা সপ্তাহে 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ করা লক্ষ্য করা উচিত।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। ওজন কমানো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন: নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে একজন ডাক্তার বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।