শব্দের তীব্রতা কাকে বলে?

  • শব্দ যে সর্বোচ্চ বিস্তার সহকারে কম্পিত হয়, ফলে আমাদের কানে শ্রুতির অনুভূতি জন্মায় তাকে শব্দের তীব্রতা বলে।
  • তীব্রতা হচ্ছে শব্দ সঞ্চালনের পথে লম্বভাবে অবস্থিত একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেণ্ডে প্রবাহিত শব্দশক্তি।
  • শব্দ বিস্তারের অভিমুখে লম্বভাবে রাখা একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ শব্দ শক্তি প্রবাহিত হয় তাকে শব্দের তীব্রতা বলে।

শব্দের তীব্রতা হল শব্দতরঙ্গ যে দিকে সঞ্চারিত হচ্ছে, তার সাথে লম্বভাবে প্রতি একক সময়ে প্রতি একক ক্ষেত্রফল এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শক্তির পরিমাণ। শব্দের তীব্রতার মান ও দিক উভয়ই বিদ্যমান, তাই এটি একটি সদিক বা ভেক্টর রাশি।

শব্দের তীব্রতার একক হল ওয়াট/বর্গমিটার (W/m2)। শব্দের তীব্রতা যত বেশি, শব্দ তত জোরে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ কথোপকথনের শব্দের তীব্রতা প্রায় 0.0006 W/m2, একটি বড় বৈদ্যুতিক মোটরের শব্দের তীব্রতা প্রায় 100 W/m2, এবং একটি রক কনসার্টের শব্দের তীব্রতা প্রায় 120 W/m2

শব্দের তীব্রতা মানুষের শ্রবণশক্তির উপর নির্ভর করে। মানুষের শ্রবণশক্তির পরিসীমা প্রায় 20 Hz থেকে 20,000 Hz। এই পরিসরের মধ্যে, শব্দের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।

শব্দের তীব্রতা পরিমাপের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শব্দ স্তর মিটার (sound level meter), শব্দ তীব্রতা মিটার (sound intensity meter), এবং শব্দ চাপ মিটার (sound pressure meter)।

শব্দের তীব্রতা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ শব্দের তীব্রতাতে থাকা শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাথাব্যথা, এবং চাপের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।