সেমি-মাইক্রো পদ্ধতির সুবিধা
এ পদ্ধতির বেশ কিছু সুবিধা আছে-
১) সেমি-মাইক্রো পদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃতভাবে অল্প পরিমাণ রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার হয়।
২) এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভৌত প্রক্রিয়া যেমন – পৃথকীকরণ, ধৌতকরণ প্রভৃতি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
৩) সময় কম লাগে এবং পরীক্ষার আর্থিক ব্যয় যথেষ্টভাবে কম হয়। উৎপন্ন রাসায়নিক বর্জ্যের পরিমাণও অপেক্ষাকৃতভাবে কম হয়। ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকির রাসায়নিক দ্রব্য ও বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যকে ব্যবহার করা হয়। সেমিমাইক্রো পদ্ধতি নিরাপদ ও পরিবশে বান্ধব।
৪) হাইড্রোজেন সালফাইড একটি মারাত্মক বিষ। এই পদ্ধতিতে H2S এর পরিবর্তে থায়োঅ্যাসিট্যামাইড দ্রবণ ব্যবহৃত হয়। ফলে ঝুঁকি মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা-কার্য শেষ করা যায়।
CH3CSNH2(aq) + H2O(l) → CH3CONH2(aq) + H2S(g)
৫) এ পদ্ধতিতে কাজ করলে ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আগ্রহ বাড়ে।
সেমি-মাইক্রো পদ্ধতির অসুবিধা
এ পদ্ধতির বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। এ পদ্ধতিতে অব্যবহৃত রাসায়নিক বর্জ্য ও উৎপন্ন রাসায়নিক পদার্থ যথেষ্ট পরিমাণ হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব নয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক উপাদান ও এর উৎপাদন বিপজ্জনক বর্জ্য হিসেবে দেখা দেয়।