সার্ভে পদ্ধতির বিভাগগুলি উল্লেখ কর। সার্ভে পদ্ধতির সুবিধাসমূহ | সার্ভে পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ

সার্ভে পদ্ধতির বিভাগগুলি উল্লেখ কর।

সার্ভে পদ্ধতির তিনটি শ্রেণি আছে।

১) ফিল্ড স্টাডিঃ এখানে ঘটনা যেখানে ঘটে সেখানে গিয়ে অনিয়ন্ত্রিত চলকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণ শ্রেণিকক্ষে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-শিখন পরিস্থিতিতে আচরণ পরিচালিতি করতে হয়।

২) বিকাশমূলক সার্ভেঃ বিকাশমূলক সার্ভে ক্লিনিক্যাল সার্ভের ন্যায়। এই ধরনের সার্ভে উলম্ব ও অনুভূমিক হতে পারে।

৩) পার্থক্যমূলক সার্ভেঃ এই পদ্ধতি বিভিন্ন জাতি বা বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ দেশের মধ্যে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পার্থক্য নিরূপণে প্রয়োগ করা হয়। যেমন – শ্বেতকায় ও কৃষ্ণবর্ণ নিগ্রোদের মধ্যে বুদ্ধির পার্থক্য।

সার্ভে পদ্ধতির সুবিধাসমূহ

১) শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ে সমীক্ষা বা গবেষণায় এই পদ্ধতির বহুল ব্যবহার দেখা যায়।

২) শিক্ষাবিজ্ঞান সমেত সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে এমন অনেক সমস্যা আছে যার উপর সমীক্ষা বা গবেষণার ক্ষেত্রে সার্ভে পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব নয়। 

৩) বিস্তৃত ক্ষেত্র নিয়ে সমীক্ষা করার জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ।

৪) সার্ভে পদ্ধতি তাত্ত্বিক বা ফলিত উভয় গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়।

সার্ভে পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ

১) সার্ভে পদ্ধতিতে বৃহৎ দলের প্রয়োজন হয়। বৃহৎ দল গঠন করা এবং তাদেরকে ধরে রেখে সমীক্ষা করা কঠিন ব্যাপার। আবার বৃহৎ দল না হলে সমস্যার গভীরে যাওয়া যায় না।

২) এই পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। 

৩) সার্ভে পদ্ধতির তথ্যগুলি নমুনার উপর ভিত্তি করে সংগৃহীত হওয়ার ফলে সবসময় সমগ্র অংশের প্রতিনিধিত্ব নাও করতে পারে।

Leave a Comment