সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্মাবলি

১) পোলারিটিঃ ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় বলে অণুতে কোনো পোল সৃষ্টি হয় না। এজন্য সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত অপোলার।

২) বিদ্যুৎ পরিবাহিতাঃ সমযোজী যৌগে কোনা আয়ন সৃষ্টি হয় না। তাই অপোলার সমযোজী যৌগসমূহ বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম নয়।

৩) দ্রাব্যতাঃ সমযোজী যৌগ অপোলার বলে এরা সাধারণত অপোলার জৈব দ্রাবক বেনজিন, ইথার, ক্লোরোফরম ইত্যাদিতে বেশি দ্রবণীয় এবং পানিতে কম দ্রবণীয় হয়।

৪) গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কঃ  সমযোজী যৌগের অণুগুলো অপোলার হওয়ায় এদের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বল খুব কম। ফলে এদের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম।

৫) সমানুতাঃ সমযোজী যৌগ দিক, ধর্ম সম্পন্ন বন্ধন অর্থাৎ অণুতে পরমাণুগুলো ত্রিমাত্রিক স্থানে একটি নির্দিষ্ট দিকে স্থির থাকে বলে এদের গঠন দৃঢ় ও নির্দিষ্ট আকারের হয়। ফলে এরা আলোক সমাণুতা ও স্টোরিও সমাণুতা দেখায়।

Leave a Comment