যে সকল অণু বা আয়ন অন্য অণু বা আয়নের জোড়ায় জোড়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাদেরকে লুইস এসিড বলে। যে সকল অণু বা আয়ন অন্য অণু বা আয়নকে জোড়ায় জোড়ায় ইলেকট্রন দান করে তাদেরকে লুইস ক্ষারক বলে।
লুইস মতবাদের প্রয়োগ
- এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে সন্নিবেশ সমযোজী যৌগ গঠন করা যায়।
- ধাতব অক্সাইডের ক্ষারকত্ব এবং অধাতব অক্সইডের অম্লত্ব ব্যাখ্যা করা যায়।
- লুইস মতবাদ অনুসারে এসিড ক্ষারকে প্রশমন বিক্রয়া দ্রাবকের অনুপস্থিতিতে ঘটানো যায়।
- বিভিন্ন ধরনের বিক্রিয়া ঘটানো যায়।
- বিক্রিয়াজাত পদার্থ তৈরি করতে প্রোটনের আদান প্রদান ঘটে না।
লুইস মতবাদের সীমাবদ্ধতা
- লুইস এসিড ও ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়ায় অম্ল ও ক্ষারে শক্তি উপস্থিত বিভিন্ন গ্রুপের তড়িৎ ঋণাত্মকতার উপর নির্ভরশীল।
- অধিকাংশ লুইস এসিড ক্ষারের বিক্রিয়া ধীর গতিসম্পন্ন।
- এ তত্ত্বানুসারে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন সৃষ্টি হয় কিন্তু সাধারণ এসিড ক্ষারের বিক্রিয়া হয় না।
- এ মতবাদ অনুসারে প্রোটনিক এসিডগুলো সরাসরি এসিড শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয়।
- অবিয়োজিত এসিড ক্ষারের সাথে সন্নিবেশ বন্ধন গঠন করতে পারে না।
- এ তত্ত্বের সাহায্যে এসিড ও ক্ষারকের আপেক্ষিক তীব্রতা অনুসারে সাজানো যায় না।