লাইসোজোম কাকে বলে?

কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত একক পর্দাবেষ্টিত, অতিক্ষুদ্র, গোলাকার, কোষীয় পরিপাকে অংশগ্রহণকারী বীজে, ভুট্টা ও তামাকের চারার কোষে লাইসোজোম পাওয়া যায়। প্রাণীর যকৃতকোষ, স্নায়ুকোষ, বৃক্ককোষ, অস্থি, জরায়ু, মূত্রথলি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে লাইসোজোম থাকে।

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বেলজিয়ান বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান দ্য দ্যুভে লাইসোজোম আবিষ্কার করেন।

লাইসোজোম জীব কোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এর উৎসেচক আগত জীবাণুগুলোকে হজম করে ফেলে। এর পরিপাক করার উৎসেচকগুলো একটি পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে, তাই অন্যান্য অঙ্গাণু এর সংস্পর্শে এলেও হজম হয় না। দেহে অক্সিজেনের অভাব হলে বা বিভিন্ন কারণে লাইসোজোমের পর্দা ক্ষতিগ্রস্থ হলে তখন এর আশেপাশের অঙ্গগুলো নষ্ট হয়ে যায়। কখনো কোষটিই মারা যায়।