- 7.1 পদার্থের পরিবর্তন
- 7.2 রাসায়নিক বিক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ
- 7.3 বিশেষ ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া
- 7.4 বাস্তব ক্ষেত্রে সংঘটিত কয়েকটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
- 7.5 বিক্রিয়ার গতিবেগ বা বিক্রিয়ার হার
প্রশ্ন ব্যাংক
7.1 পদার্থের পরিবর্তন
- পদার্থের পরিবর্তন কাকে বলে?
- পদার্থের পরিবর্তন কয় ধরনের ও কি কি?
- ভৌত পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
- রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
7.2 রাসায়নিক পরিবর্তন বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ
- বিক্রিয়ার দিক রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি?
- একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
- উভমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
- বিক্রিয়ার তাপের পরিবর্তন বিবেচনায় রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি?
- তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
- তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
- ইলেকট্রন স্থানান্তরের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার ও কি কি?
- রেডক্স বিক্রিয়া কাকে বলে?
- জারণ সংখ্যা কাকে বলে?
- জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
- দাগাঙ্কিত মৌলের জারণ সংখ্যা নির্ণয় করো
- MnO2
- K2Cr2O7
- NO3–
- H2SO4
- MnO4–
- CuSO4
- NaOH
- KMnO4
- জারন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
- বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
- জারক ও বিজারক কাকে বলে?
- জারণ বিজারণ বিক্রিয়া একটি যুগপৎ প্রক্রিয়া – ব্যাখ্যা করো।
- ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, এরকম কয়েকটি বিক্রিয়ার নাম লিখ।
- সংযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ লিখ।
- সকল সংশ্লেষণ বিক্রিয়াই সংযোজন বিক্রিয়া কিন্তু সকল সংযোজন বিক্রিয়া সংশ্লেষণ বিক্রিয়া নয় – ব্যাখ্যা করো।
- বিযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ লেখ।
- বিশ্লেষণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
- সকল বিশ্লেষণ বিক্রিয়াই বিক্রিয়া কিন্তু সকল বিযোজন বিক্রিয়া বিশ্লেষণ বিক্রিয়া নয় – ব্যাখ্যা করো।
- প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।
- দহন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।
- নন রেডক্স বিক্রিয়া কাকে বলে?
- প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।
- অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।
- দর্শক আয়ন কাকে বলে?
7.3 বিশেষ ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া
- আর্দ্র বিশ্লেষণ বা পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলতে কি বুঝ?
- পানিযোজন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝো?
- কেলাস পানি বা হাইড্রেটেড পানি কি?
- সমানুকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
- ইউরিয়া কিভাবে তৈরি করা যায়?
- পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলতে কী বোঝো?
7.4 বাস্তব ক্ষেত্রে সংঘটিত কয়েকটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ
- মরিচার রাসায়নিক সংকেত লেখ।
- মরিচা কিভাবে তৈরি হয় বিক্রিয়াসহ – ব্যাখ্যা কর।
- লোহাকে বায়ুতে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ লোহা মরিচা হয়ে যায় কিন্তু অ্যালুমিনিয়ামকে বায়ুতে ফেলে রাখলে শুধুমাত্র উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্যাখ্যা কর।
- পিঁপড়া বা মৌমাছির কামড়ের জ্বালা নিরাময় করার জন্য ক্ষতস্থানে চুন লাগানো হয় কেন?
- মানব শরীরে খাদ্য থেকে কি প্রক্রিয়ায় মক্তি উৎপন্ন হয় ব্যাখ্যা কর।
- তোমার জানামতে একটি ক্ষতিকর বিক্রিয়া বুঝিয়ে লিখ।
- গ্যালভানাইজিং কি?
- ইলেকট্রোপ্লেটিং কি?
- বর্ষাকালে পাকা বাড়ির ছাদ পিচ্ছিল হলে বালু দেওয়া হয় কেন?
- কচু খাওয়ার পর গলা চুলকালে তেঁতুল খায় কেন?
- সেলাই করার সূচকে নারিকেল তেলের ভিতর ডুবিয়ে রাখা হয় কেন?
7.5 বিক্রিয়ার গতিবেগ বা বিক্রিয়ার হার
- বিক্রিয়ার হার বা গতিবেগ কি?
- বিক্রিয়ার হার কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
- উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বলতে কি বুঝ?
- লা-শাতেলিয়ারের নীতিটি লিখ।
- সাম্যাবস্থার উপর তাপমাত্রা, চাপ ও ঘনমাত্রার প্রভাব উদাহরণসহ বর্ণনা কর।
- নিচের বিক্রিয়াগুলোর উপর তাপমাত্রা ও চাপের প্রভাব বর্ণনা কর:
- N2(g) + O2(g) → 2NO(g) – Heat
- A2(g) + 3B2(g) → 2AB(g) + Heat
- N2(g) + 3H2(g) → 2NH3(g); ΔH= – 92.4 kJ
- রাসায়নিক সাম্যাবস্থা শুধুমাত্র উভমুখী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য – ব্যাখ্যা কর।
একনজরে রাসায়নিক বিক্রিয়া | SSC রসায়ন Notes
ভৌত পরিবর্তন
যদি কোনো পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক কোনো পরিবর্তন না ঘটে শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটে তাহলে তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে।
রাসায়নিক পরিবর্তন
যে পরিবর্তনের ফলে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
একমুখী বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থগুলো উৎপাদে পরিণত হয়, কিন্তু উৎপাদ পদার্থগুলো পুনরায় বিক্রিয়কে পরিণত হয় না, তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলে।
উভমুখী বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে উৎপাদে পরিণত হয়, আবার উৎপাদ পদার্থগুলো পুনরায় বিক্রিয়া করে বিক্রিয়ক পদার্থে পরিণত হয় তাকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে।
সম্মুখমুখী বিক্রিয়া
উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক হতে উৎপাদে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে সম্মুখমুখী বিক্রিয়া বলে।
পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়া
উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপাদ হতে পুনরায় বিক্রিয়কে পরিণত হওয়ার বিক্রিয়াকে পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়া বা বিপরীতমুখী বিক্রিয়া বলে।
তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।
তাপহারী বিক্রিয়া বা তাপশোষী বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির শোষণ ঘটে তাকে তাপহারী বা তাপশোষী বিক্রিয়া বলে।
বিক্রিয়া তাপ
একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হতে যে পরিমাণ তাপের পরিবর্তন হয় তাকে বিক্রিয়া তাপ বলে।
বিজারক
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাকে বিজারক পদার্থ বলে।
জারক
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে জারক বলে।
জারণ বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণুর ইলেকট্রনের দান ঘটে তাকে জারণ বিক্রিয়া বলে।
বিজারণ বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণুর ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে তাকে বিজারণ বিক্রিয়া বলে।
জারণ সংখ্যা
অণু বা যৌগমূলকের মধ্যে অবস্থিত কোনো পরমাণুর ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চিহ্নযুক্ত সংখ্যাকেই তার জারণ সংখ্যা বলে।
সংযোজন বিক্রিয়া বা যুত বিক্রিয়া
যে রেডক্স বিক্রিয়ায় দু্ই বা ততোধিক রাসায়নিক পদার্থ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটিমাত্র উৎপাদ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।
বিযোজন বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিণত হয় তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।
সংশ্লেষণ বিক্রিয়া
যেসব সংযোজন বিক্রিয়ায় শুধুমাত্র মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে তাকে সংশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে।
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
কোনো অধিক সক্রিয় মৌল বা যৌগমূলক অপর কোনো কম সক্রিয় মৌল বা যৌগমূলককে প্রতিস্থাপন করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
দহন বিক্রিয়া
কোনো মৌল বা যৌগকে বাতাসের অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে তার উপাদান মৌলের অক্সাইডে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে।
নন-রেডক্স বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন আদান-প্রদান ঘটে না তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
প্রশমন বিক্রিয়া
এসিড ও ক্ষার পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে প্রশমিত হয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন করার বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
দর্শক আয়ন
কোনো বিক্রিয়ায় যে আয়ন বা আয়নসমূহ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না তাদের দর্শক আয়ন বলে।
অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া
একই দ্রাবকে দুটি যৌগ মিশ্রিত করলে তারা পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে যে উৎপাদগুলো উৎপন্ন করে তাদের মধ্যে কোনটি যদি এ দ্রাবকে অদ্রবণীয় বা খুবই কম পরিমাণে দ্রবণীয় হয় তাহলে তা পাত্রের তলায় কঠিন অবস্থায় তলানি হিসেবে জমা হয়। এ তলানিকে অধঃক্ষেপ বলে। যে বিক্রিয়ায় দ্রবণীয় বিক্রিয়ক পদার্থ বিক্রিয়া করে অদ্রবণীয় কঠিন উৎপাদে পরিনত হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
আর্দ্র বিশ্লেষণ বা পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক হিসেবে পানি অন্য কোনো যৌগের সাথে বিক্রিয়া করে উৎপাদ উৎপন্ন করলে তাকে আর্দ্র বিশ্লেষণ বা পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে।
পানি যোজন বিক্রিয়া
আয়নিক যৌগগুলো কেলাস বা স্ফটিক গঠনের জন্য এক বা একাধিক পানির অণুর সাথে যুক্ত হয়। এ ধরনের বিক্রিয়াকে পানি যোজন বিক্রিয়া বলে।
কেলাস পানি
আয়নিক যৌগগুলো কেলাস গঠনের সময় যে কয়টি পানির অণুর সাথে যুক্ত হয় তাকে কেলাস পানি বলে।
সমানু
যখন দুটি যৌগের আনবিক সংকেত একই থাকে কিন্তু গাঠনিক সংকেত ভিন্ন হয় তবে তাদেরকে পরস্পরের সমানু বলা হয়।
সমানুকরণ বিক্রিয়া
একটি সমানু থেকে অপর একটি সমানু তৈরির প্রক্রিয়াকে সমানুকরণ বিক্রিয়া বলে।
পলিমাকরণ বিক্রিয়া
প্রভাবক, উচ্চ চাপ ও তাপের প্রভাবে যখন এক বা একাধিক যৌগের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি বৃহদাকার অণু তৈরি করে তাকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে।
গ্যালভানাইজিং
ধাতুর উপর জিঙ্ক ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে গ্যালভানাইজিং বলে।
টিন প্লেটিং
টিন প্লেটিং ধাতুর উপর টিনের প্রলেপ দেওয়াকে টিন প্লেটিং বলে।
ইলেকট্রোপ্লেটিং
তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর অন্য একটি ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে।
বিক্রিয়ার হার
একক সময়ে যে পরিমাণ বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় তাকে বিক্রিয়ার হার বলে।
সম্মুখবর্তী বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কগুলো বিক্রিয়া করে উৎপাদে পরিণত হয় তাকে সম্মুখবর্তী বিক্রিয়া বলে।
পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় উৎপাদ পদার্থগুলো পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে পুনরায় বিক্রিয়কে পরিণত হয় তাকে পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়া বলে।
উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা
বিক্রিয়ার শুরুতে সম্মুখবর্তী বিক্রিয়ার হার অনেক বেশি থাকে এবং পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার অনেক কম থাকে। সময়ের সাথে সাথে সম্মুখবর্তী বিক্রিয়ার হার কমতে থাকে এবং পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার বাড়তে থাকে। এক সময় সম্মুখবর্তী বিক্রিয়ার হার এবং পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার সমান হয়ে যায়। একে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বলা হয়।
প্রশমন তাপ
1 মোল পানি উৎপন্ন করতে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন তয় তাকে প্রশমন তাপ বলে।
জারণ সংখ্যা
যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে কিংবা যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে তাকে ঐ মৌলের জারণ সংখ্যা বলে।
সাম্যাবস্থা
উভমুখী বিক্রিয়ার যে অবস্থায় সম্মুখমুখী বিক্রিয়ার হার ও পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার সমান থাকে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বলা হয়।