রাজাকার কাকে বলে? গঠন, বিলুপ্তি, তালিকা ও ভূমিকা

রাজাকার কাকে বলে?

রাজাকার অর্থ বিশ্বাসঘাতক বা প্রতারক। রাজাকার শব্দটি একটি অপমানজনক গালি হিসেবে পরিচিত হয়। রাজাকাররা মূলত দেশদ্রোহী হিসেবে পরিচিত। তবে স্থানভেদে রাজাকার শব্দটির অর্থের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যারা মুক্তিযু্দ্ধের সময় পশ্চিম পাকিস্তানিদের সাহায্য করতো এবং তাদের সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হতো তাদেরকে রাজাকার বলা হয়।

রাজাকার বাহিনী গঠন

মে, ১৯৭১ মওলানা এ কে এম ইসুফের নেতৃত্বে ৯৬ জন জামায়াত কর্মী নিয়ে খুলনার আনসার ক্যাম্পে এই বাহিনী গঠিত হয়। তিনি এই বাহিনীর নামকরণ করেন ‘রাজাকার বাহিনী’। এই বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী হিসাবে এই বাহিনী দায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এই বাহিনীর অত্যাচারের চিহ্ন আজো বিদ্যমান।

তথ্যসূত্রঃ http://www.molwa.gov.bd/history.php

রাজাকার বাহিনী কেন গঠিত হয়?

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) এবং এবং পশ্চিম পাকিস্তান (পাকিস্তান) এর যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্বারা পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ)-এর জনগণ নিয়ে গঠিত হয় রাজাকার বাহিনী।

রাজারকার বাহিনীর বিলুপ্তি

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে রাজাকার বাহিনীর স্বাভাবিক বিলুপ্তি ঘটে।

কয়েকজন অভিযুক্ত রাজাকারের তালিকা

  • গোলাম আযম
  • আব্বাস আলী খান
  • মতিউর রহমান নিজামী
  • আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ
  • মুহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • দেলোয়ার হোসেন সাঈদী
  • আবদুল কাদির মোল্লা
  • ফজলুল কাদের চৌধুরী
  • সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
  • মীর কাসেম আলী

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের ভূমিকা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল রাজাকার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল রাজাকার বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করতে সহযোগিতা ও নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন ও লুণ্ঠন করেছিল। এমনকি নারীদের অপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালায় তারা। রাজাকার বাহিনী ছিল হানাদার বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অর্থাৎ হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের সাথেও তারা জড়িত ছিল। রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণা ও জনমত গঠন করতো।