মানবাধিকার বলতে কি বুঝায়?

মানবাধিকার হল এমন কিছু মৌলিক অধিকার যা সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য, তাদের বর্ণ, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, বা যেকোনো অন্যান্য অবস্থা নির্বিশেষে। মানবাধিকারগুলি মানুষের মর্যাদা এবং সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে।

মানবাধিকারের একটি সাধারণ সংজ্ঞা হল “মানব অস্তিত্বের মৌলিক দিকগুলির জন্য প্রয়োজনীয় অধিকার এবং স্বাধীনতা।” মানবাধিকারগুলিকে প্রায়শই “অখণ্ডনীয়, অবিচ্ছেদ্য এবং পারস্পরিক সম্পর্কিত” হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি বোঝায় যে তারা একে অপরের থেকে আলাদা করা যায় না এবং এগুলি একে অপরের উপর নির্ভর করে।

মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার: সকল মানুষের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
  • নিরাপত্তার অধিকার: সকল মানুষের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে।
  • স্বাধীনতার অধিকার: সকল মানুষের চিন্তা, বিশ্বাস, অভিব্যক্তি, এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
  • সমানতার অধিকার: সকল মানুষের আইনের সামনে সমান অধিকার রয়েছে।
  • ন্যায়বিচারের অধিকার: সকল মানুষের ন্যায়বিচারের অধিকার রয়েছে।
  • জীবনের মান উন্নত করার অধিকার: সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার অধিকার রয়েছে।

মানবাধিকারগুলি আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ হল মানবাধিকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দলিল। এই সনদটি সকল মানুষের জন্য মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য মৌলিক নীতি ও মান নির্ধারণ করে।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের একটি তালিকা রয়েছে। এই তালিকাটি জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশে মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য মানবাধিকার কমিশনও রয়েছে।

মানবাধিকার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা সকল মানুষের মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য সকল দেশের সরকারের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে।