ভৌগলিক অবস্থান কি?

ভৌগলিক অবস্থান বলতে কোনো স্থানের পৃথিবীর পৃষ্ঠে অবস্থানকে বোঝায়। 

ভৌগলিক অবস্থানকে দুই ভাবে প্রকাশ করা হয়:

  • অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ: অক্ষাংশ হল কোনো স্থানের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত দূরত্বের পরিমাপ। দ্রাঘিমাংশ হল কোনো স্থানের গ্রিনউইচ মানমন্দির থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে দূরত্বের পরিমাপ। এই দুইটি মান একসাথে ব্যবহার করে কোনো স্থানের নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
  • ভূগোলিক স্থানাঙ্ক: ভূগোলিক স্থানাঙ্ক হল কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের সমষ্টি।

ভৌগলিক অবস্থান কোনো স্থানের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • জলবায়ু: ভৌগলিক অবস্থান জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, উচ্চ অক্ষাংশে জলবায়ু শীতল হয়, আর নিম্ন অক্ষাংশে জলবায়ু উষ্ণ হয়।
  • প্রাকৃতিক সম্পদ: ভৌগলিক অবস্থান প্রাকৃতিক সম্পদের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় খনিজ সম্পদ ও জল সম্পদের প্রাচুর্য থাকে।
  • পরিবহন ও যোগাযোগ: ভৌগলিক অবস্থান পরিবহন ও যোগাযোগের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, উপকূলীয় এলাকায় পরিবহন ও যোগাযোগের সুযোগ বেশি থাকে।
  • অর্থনীতি: ভৌগলিক অবস্থান অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ এলাকায় শিল্পায়ন বেশি হয়।
  • সংস্কৃতি: ভৌগলিক অবস্থান সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সংস্কৃতিতে মাছ ধরা ও নাবিকদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়।

ভৌগলিক অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি কোনো স্থানের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে।