ভাষা পরিকল্পনা কাকে বলে? ভাষা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা কর।

ভাষা পরিকল্পনা কাকে বলে? 

ভাষাকে সুন্দরভাবে ব্যবহার, যথার্থভাবে উপস্থাপন তার মান উন্নয়নে ভাষা পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পৃথিবীতে প্রথম ভাষা সংস্কারের কাজ করেছেন পাণিনি। তাঁর গ্রন্থের নাম ‘অষ্টাধ্যায়ী’। সমস্ত দেশ বা সকল দেশ নিজেদের ভাষাকে উদার, মুক্ত, দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরতে চাইছে। যে ভাষা জাতীয় ভাষায় উন্নীত হওয়ার কার্যকলাপ করে চলেছে, সেই ধারাবাহিক সচেতন প্রয়াস হল ভাষা পরিকল্পনা।

ভাষা পরিকল্পনার উদ্দেশ্য

ভাষা পরিকল্পনার প্রধানত দুটি উদ্দেশ্য – 

১) অবস্থান পরিকল্পনা ও

২) গঠনগত পরিকল্পনা। 

এই দুই উদ্দেশ্য ছাড়াও আরো কতগুলি সাধারণ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেগুলি হলো –

১) ভাষা পরিকল্পনার সাহায্যে ভাষাকে সামাজিক অবস্থান থেকে উন্নততর অবস্থানে রূপান্তর করা।

২) ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য বা প্রদেশ বিভাজন ও ভাষা পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত।

৩) ভাষা পরিকল্পনার মাধ্যমে কোনো ভাষার বানান উদ্ভাবন ও অর্থগত সমস্যার সমাধান করা।

৪) ভাষা ব্যবহারের অনুপাত অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা নির্ধারণ করাও এই পর্বের উল্লেখযোগ্য কাজ।

৫) ভাষা পরিকল্পনার সাথে ভাষার নীতিকে যুক্ত করা হয়।

৬) ভাষা পরিকল্পকদের কাজ হলো বিভিন্ন তত্ত্ব বা সূত্র প্রতিষ্ঠা করা।

৭) মৃত ভাষাকে পুনর্জীবিত করাও ভাষা পরিকল্পনার মধ্যে পড়ে।