ব্যবসায় সংগঠন মূলত কয়েকটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা যায়। এই ভাগাভাগি করা হয় মালিকানার ধরন, আকার, কার্যকলাপ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
ব্যবসায় সংগঠন এর প্রকারভেদ
- একমালিকানা ব্যবসায়: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ প্রকারের ব্যবসায় সংগঠন। একজন ব্যক্তি নিজেই সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং লাভ-লোকসানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়।
- অংশীদারি ব্যবসায়: দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে এই ধরনের ব্যবসায় শুরু করে। তারা মূলধন, লাভ এবং লোকসান ভাগ করে নেয়।
- কোম্পানি: কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হয় এবং এটি একটি আলাদা আইনী সত্তা। কোম্পানির মালিকানা অংশীদারদের হাতে থাকে, যাদেরকে শেয়ারহোল্ডার বলা হয়। কোম্পানি দুই প্রকারের হতে পারে:
- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি: এই ধরনের কোম্পানির শেয়ার জনসাধারণের কাছে বিক্রি করা যায় না।
- পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি: এই ধরনের কোম্পানির শেয়ার জনসাধারণের কাছে বিক্রি করা যায়।
- সমবায় সমিতি: একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর লোকের সম্মিলিত উদ্যোগে গঠিত হয়। এখানে সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মূলধন ভাগ করে নেয় এবং লাভও ভাগ করে নেয়।
- সরকারি সংস্থা: সরকার দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
- যৌথ উদ্যোগ: দুই বা ততোধিক কোম্পানি বা দেশ মিলে কোনো ব্যবসায়িক প্রকল্প গ্রহণ করে।
ব্যবসায় সংগঠনকে আরও ভাগ করা যেতে পারে:
- আকারের ভিত্তিতে: ছোট, মাঝারি এবং বড় ব্যবসা।
- কার্যকলাপের ভিত্তিতে: উৎপাদন, বিক্রয়, সেবা ইত্যাদি।
- মালিকানার দায়িত্বের ভিত্তিতে: সীমিত দায়িত্ব এবং অসীম দায়িত্ব।