ব্যবসায় উদ্যোগ কাকে বলে?

ঝুঁকি নিয়ে কোনো ব্যবসায় স্থাপনকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। ব্যবসায় উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। এটি সাধারণত নতুন ব্যবসায় শুরুর সাথে সম্পর্কিত। তবে প্রতিষ্ঠানে নতুন পণ্য বা সেবা চালু করাও ব্যবসায় উদ্যোগের মধ্যে পড়ে।

  • মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় সংগঠিত করার কাজকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে।
  • ব্যবসায় কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করাকে বলা হয় ব্যবসায় উদ্যোগ
  • নতুন ব্যবসায় গঠন বা নতুন পণ্য বা সেবা পদ্ধতি বা বাজার সামনে রেখে একজন ব্যবসায়ীর নতুন উদ্যোগকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে।

সব উদ্যোগকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলা যায় না। যেকোনো কাজের কর্মপ্রচেষ্টাকে উদ্যোগ বলে। যদি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান স্থাপনকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। ব্যবসায় উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মুনাফা অর্জন করা।

উদাহরণস্বরূপঃ মুদি দোকান স্থাপন করা একটি ব্যবসায় উদ্যোগ। কেননা মুনাফা অর্জনই এর প্রধান লক্ষ্য।

ব্যবসায় উদ্যোগ প্রয়োজন কেন?

নিজস্ব কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা করা হলো ব্যবসায় উদ্যোগ। এর মাধ্যমে নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এতে বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। এর সাথে দেশের জাতীয় আয়ও বাড়ে। আর ব্যবসায়ের মাধ্যমে সম্পদের সঠিক ব্যবহারে ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি সম্ভব হয়। এছাড়া, ব্যবসায় সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসায় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান। আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা হলো ঝুঁকি। আর আর্থিক ক্ষতির আশঙ্ক আছে জেনেও ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। বলা হয়ে থাকে – ঝুঁকি নেই তো মুনাফাও নেই, আর ঝুঁকি বেশি তো মুনাফাও বেশি। ব্যবসায়ে বেশি ঝুঁকি নিলে লাভের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই বলা যায়, ব্যবসায়ের সাথে ঝুঁকির ধনাত্মক সম্পর্ক রয়েছে।