বীজধান কাকে বলে? বীজধানের প্রকারভেদ

বীজধান কাকে বলে?

বীজধান হল এমন ধানের বীজ যা চারা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। বীজধানের গুণমান নির্ধারণ করে চারা গাছের স্বাস্থ্য এবং ফলন।

বীজধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হল:

  • বীজের আকার: বীজধানের বীজ আকারে বড় হওয়া উচিত। বড় বীজ থেকে ভালো মানের চারা গঠিত হয়।
  • বীজের গুণমান: বীজের গুণমান ভালো হওয়া উচিত। রোগ-বালাইমুক্ত এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে মুক্ত বীজ নির্বাচন করা উচিত।
  • বীজের শক্তি: বীজের শক্তি ভালো হওয়া উচিত। বীজের শক্তি ভালো থাকলে চারা গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।

বীজধানের প্রকারভেদ

বীজধান বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে, বাংলাদেশে সাধারণত নিম্নলিখিত ধরনের বীজধান ব্যবহৃত হয়:

  • আমন বীজধান: আমন ধানের চাষের জন্য আমন বীজধান ব্যবহৃত হয়। আমন বীজধানের মধ্যে রয়েছে বারমাসি, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৩৪, ব্রিধান-৩৬, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-৫২ ইত্যাদি।
  • বোরো বীজধান: বোরো ধানের চাষের জন্য বোরো বীজধান ব্যবহৃত হয়। বোরো বীজধানের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৭৬, ব্রিধান-৭৭, ব্রিধান-৭৮, ব্রিধান-৮০, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮২, ব্রিধান-৮৩ ইত্যাদি।

বীজধান সংরক্ষণ

বীজধান ভালোভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। বীজধানকে শুষ্ক এবং ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। বীজধানকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে। বীজধানকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে হবে।

বীজধানের ব্যবহার

বীজধান চারা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। চারা উৎপাদন করে ধানের জমিতে রোপণ করা হয়। ধানের জমিতে রোপণের পর চারাগাছ বড় হয়ে ধানের ফলন দেয়।