বিস্ফোরক পদার্থগুলো কি কি?

বিস্ফোরক পদার্থ হলো এমন এক ধরনের পদার্থ যাতে অল্প পরিমাণ শক্তি প্রয়োগে দ্রুত এবং প্রচণ্ড শক্তির বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। বিস্ফোরক পদার্থের মধ্যে উচ্চমাত্রার শক্তি সঞ্চিত থাকে, যা বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হঠাৎ করে খুবই অল্প সময়ের মাঝে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ শক্তি প্রকাশ পায়। যা আলো, তাপ, শব্দ, এবং চাপ শক্তি আকারে প্রকাশ পায়।

বিস্ফোরক পদার্থের শ্রেণীবিভাগ বিভিন্নভাবে করা হয়। এর মধ্যে একটি শ্রেণীবিভাগ হলো বিস্ফোরণের গতিবেগ দ্বারা। এই শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, বিস্ফোরক পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:

  • উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক (High Explosives): এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের বিস্ফোরণ শব্দের চেয়েও দ্রুত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো TNT, RDX, PETN, এবং Nitroglycerin।
  • নিম্নমাত্রার বিস্ফোরক (Low Explosives): এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের বিস্ফোরণ শব্দের চেয়ে ধীর হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Black powder, Gunpowder, এবং Smokeless powder।

আরেকটি শ্রেণীবিভাগ হলো বিস্ফোরক পদার্থের স্পর্শকাতরতা দ্বারা। এই শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, বিস্ফোরক পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:

  • প্রাথমিক বিস্ফোরক (Primary Explosives): এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ অল্প তাপ বা চাপে বিস্ফোরিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Mercury fulminate, Lead azide, এবং Fulminate of mercury।
  • মাধ্যমিক বিস্ফোরক (Secondary Explosives): এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ বা চাপে বিস্ফোরিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো TNT, RDX, PETN, এবং Nitroglycerin।

বিস্ফোরক পদার্থের আরও কিছু শ্রেণীবিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • রাসায়নিক বিক্রিয়ার ধরন অনুসারে
  • উৎস অনুসারে
  • ব্যবহার অনুসারে

বিস্ফোরক পদার্থের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • সামরিক কাজে
  • খনিতে
  • নির্মাণ কাজে
  • আগ্নেয়াস্ত্রে
  • বিনোদনে

বিস্ফোরক পদার্থ অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর সঠিক ব্যবহার না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই বিস্ফোরক পদার্থের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।