বিভব পার্থক্য ও তড়িচ্চালক শক্তির মধ্যে পার্থক্য

বিভব পার্থক্য এবং তড়িচ্চালক শক্তি এক নয়। এদের মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য রয়েছে:

বিভব পার্থক্যতড়িচ্চালক শক্তি
১. একক ধন চার্জকে বৈদ্যুতিক বর্তনীর এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয় তাকে ঐ দুই বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বলে।১. খোলা বর্তনীতে বিদ্যুৎ কোষের দুই পাতের মধ্যে সৃষ্ট বিভব বৈষম্য তার তড়িচ্চালক শক্তি বলে।
২. বিভব পার্থক্য বর্তনীর যেকোনো দুই বিন্দুর মধ্যে বিদ্যুৎ চালনা করে।২. তড়িচ্চালক শক্তি কোষের ভেতরে ও বাইরে বিদ্যুৎ চালনা করে।
৩. বিভব পার্থক্য ফল।৩. তড়িচ্চালক শক্তি কারণ।
৪. বর্তনীর কোনো অংশের বিভব পার্থক্য তড়িচ্চালক শক্তি অপেক্ষা ছোট।৪. তড়িচ্চালক শক্তি বর্তনীর কোনো অংশের বিভব পার্থক্য অপেক্ষা বড়।
৫. বিভব পার্থক্য বর্তনীর যেকোনো দুই বিন্দুর মধ্যে ঘটে।৫. তড়িচ্চালক শক্তি সমগ্র বর্তনীতে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করে।
৬. বিভব পার্থক্য বর্তনীর দুই বিন্দুর রোধের উপর নির্ভর করে।৬. তড়িচ্চালক শক্তি বর্তনীর রোধের উপর নির্ভর করে না।
৭. বিভব পার্থক্য স্থির থাকে না।৭. তড়িচ্চালক শক্তি স্থির থাকে।
৮. বর্তনীর যে অংশে বিদ্যুৎ শক্তি অন্য কোনো শক্তিতে পরিণত হয় ঐ অংশে বিভব পার্থক্য আছে বুঝা যায়।৮. বর্তনীর যে অংশে অন্য কোনো শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়, ঐ অংশে তড়িচ্চালক শক্তি আছে বুঝা যায়।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment