বিজ্ঞান কাকে বলে? বিজ্ঞান এক ধরনের জ্ঞান। জ্ঞান হলো কোনো কিছু সম্পর্কে তথ্য। বিজ্ঞান হলো প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কিত জ্ঞান। প্রকৃতি সম্পর্কে যেকোনো তথ্যই বিজ্ঞান নয়। কেউ যদি কোনো প্রাকৃতিক ঘটনার মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়, তা বিজ্ঞান হবে না। বিজ্ঞানের জ্ঞান হতে হলে তাকে হয় তা পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ করে পেতে হবে অথবা পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্য দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।
Table of Contents
ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান।
বিজ্ঞান হলো পরীক্ষা নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও পদ্ধতিগতভাবে লব্ধ সুশৃঙ্খল ও সুসংবদ্ধ জ্ঞান এবং এই জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি। বিজ্ঞানে জ্ঞান, পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞান বলতে আমরা কি বুঝি?
ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান ভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞানীরা বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে জ্ঞান অর্জন করেন এবং প্রকৃতি ও সমাজের নানা মৌলিক বিধি ও সাধারণ সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।
বিজ্ঞানকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হলো ভৌত বিজ্ঞান এবং অন্যটি হলো জীববিজ্ঞান।
ভৌত বিজ্ঞান কাকে বলে?
যাদের জীবন নেই, তাদের সম্পর্কিত বিজ্ঞান হলো জড় বিজ্ঞান বা ভৌত বিজ্ঞান। ভৌত বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের অনেক শাখা আছে। ভৌত বিজ্ঞানের অনেক শাখার মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, আবহবিদ্যা, ভূবিদ্যা ইত্যাদি প্রধান।
জীববিজ্ঞান কাকে বলে?
জীববিজ্ঞানের আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাদের জীবন আছে তাদেরকে নিয়ে। Biology-এর বাংলা পরিভাষা হলো জীববিজ্ঞান। Biology শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ (bios যার অর্থ জীবন এবং logos অর্থ জ্ঞান) থেকে। অ্যারিস্টটলকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
প্রকৃতিতে আমরা দু’ধরনের জীবন দেখতে পাই। একটি উদ্ভিদ এবং অপরটি প্রাণী। জীববিজ্ঞানকে তাই দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে: উদ্ভিদবিজ্ঞান (Botany) এবং প্রাণিবিজ্ঞান (Zoology)। উদ্ভিদবিজ্ঞান গাছপালার বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে। প্রাণিবিজ্ঞান প্রাণীদের বিভিন্ন বিষয়ে সীমাবদ্ধ।
বিজ্ঞান আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভোরের টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সারাদিনের ইন্টারনেট, মোবাইলসহ রাতের টেলিভিশন সবই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফসল। বিজ্ঞান মানব জীবনকে করেছে সুন্দর ও সমৃদ্ধ। বাড়িয়ে দিয়েছে আরাম-আয়েশ এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু বিজ্ঞানের এই সমৃদ্ধি একদিনে সম্ভব হয়নি।
পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী কে ছিলেন?
পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী বলা চলে অ্যারিস্টটলকে। যিনি একাধারে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের নানা শাখায় অবদান রেখেছেন।
বিজ্ঞানের জনক কে?
গ্যালিলিও গ্যালিলিওকে বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি একজন শিক্ষক, দার্শনিক, জ্যোতির্বিদ এবং পদার্থবিদ ছিলেন যা বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে পরিচিত। তার পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কারণে, তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক, আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক এবং বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
বিজ্ঞান কে সৃষ্টি করেন?
বিজ্ঞানের কোন একক উৎস নেই । বরং, পদ্ধতিগত পদ্ধতিগুলি কয়েক হাজার বছরের ব্যবধানে ধীরে ধীরে আবির্ভূত হয়েছে, সারা বিশ্বে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছে, এবং খুব প্রথম দিকের বিকাশ সম্পর্কে কিছু বিবরণ জানা যায়। নারীরা সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক বিজ্ঞানে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল, যেমনটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে করেছিল।
সাইন্স কত সালে আবিষ্কার হয়?
বিজ্ঞান চর্চার সূত্র সুদূর অতীত ৩০০০ থেকে ১২০০ বিসিই সময়কালে প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়ায় পাওয়া যায়। তাদের গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের জ্ঞান পরবর্তীতে গ্রিক ধ্রুপদী সভ্যতার দর্শনশাস্ত্রে প্রভাব রাখে তার পাশাপাশি প্রাকৃতিক কারণগুলোর উপর ভিত্তি করে বস্তুজগতকে ব্যাখ্যা করার সাধারণ প্রচেষ্টাও ছিল।
বিজ্ঞানের তিনটি ধাপ কি কি?
বিজ্ঞানের তিনটি প্রধান শাখা হল ভৌত বিজ্ঞান, যা প্রকৃতি এবং পদার্থের নিয়ম অধ্যয়ন করে; পৃথিবী বিজ্ঞান, যা পৃথিবী এবং এর উপাদানগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে; এবং জীবন বিজ্ঞান, যা জীবন্ত প্রাণী এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া পরীক্ষা করে।
বিজ্ঞানী শব্দটি কে আবিষ্কার করেন?
1834 সালে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ এবং বিজ্ঞানের দার্শনিক উইলিয়াম হুইয়েল “বিজ্ঞানের চাষী” এর মতো শব্দগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে “বিজ্ঞানী” শব্দটি তৈরি করেছিলেন। ইতিহাসবিদ হাওয়ার্ড মার্কেল আলোচনা করেছেন যে কীভাবে “বিজ্ঞানী” হয়ে উঠলেন, এবং কিছু সম্ভাবনার তালিকা করেছেন।
বিজ্ঞানের প্রাচীন নাম কি?
এটি মূলত ল্যাটিন শব্দ scientia থেকে এসেছে যার অর্থ জ্ঞান, জানা, দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা। 14 শতকের শেষের দিকে, বিজ্ঞান বলতে ইংরেজিতে বোঝাত, যৌথ জ্ঞান । কিন্তু এটি ধারাবাহিকভাবে একটি সামাজিকভাবে এম্বেড করা কার্যকলাপের অর্থ বহন করেছে: মানুষ খোঁজে, পদ্ধতিগত এবং জ্ঞান ভাগ করে নেয়।