বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তীয় কেন?

বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • সংবিধানের প্রস্তাবনা: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে যে, এই সংবিধান স্থায়ী হবে। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত হয়েছে এবং এর মূলনীতিগুলিকে পরিবর্তন করা সহজ হবে না।
  • সংবিধানের সংশোধন প্রক্রিয়া: সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এটি সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর প্রয়োজন। এটি সংবিধান সংশোধনকে কঠিন করে তোলে।
  • সংবিধানের মৌলিক কাঠামো: সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো রয়েছে যা সংশোধন করা যায় না। এই কাঠামোটি রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, জনগণের মৌলিক অধিকার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে রক্ষা করে।

বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়ার ফলে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের রক্ষা নিশ্চিত হয়। এটি রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোকে রক্ষা করে এবং জনগণের মৌলিক অধিকারগুলিকে সুরক্ষিত করে।

সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা নিয়ে কিছু সমালোচনাও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • সংবিধানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অসুবিধা: সময়ের সাথে সাথে সমাজের প্রয়োজন ও চাহিদা পরিবর্তিত হয়। সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা এই পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
  • অপ্রয়োজনীয় সংশোধন বাধাগ্রস্ত হয়: সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা অপ্রয়োজনীয় সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে।

তবে, বাংলাদেশের সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।