বক্র গতি কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য, সমীকরণ, প্রয়োগ

বক্র গতি কাকে বলে?

যে গতিতে বস্তু সরলরেখায় না গিয়ে বক্র পথে চলে, তাকে বক্র গতি বলে। বক্র গতিতে বস্তুর গতিবেগ ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়।

বক্র গতির কয়েকটি উদাহরণ হলো:

  • পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে বৃত্তাকার পথে ঘোরে। এই গতিকে বক্র গতি বলা হয়।
  • একটি গাড়ির বক্র রাস্তায় চলাচল: যখন একটি গাড়ি বক্র রাস্তায় চলে, তখন গাড়ি বক্র গতিতে চলে।
  • একটি ঝুলন্ত দড়িতে ঝুলন্ত বস্তু: যখন একটি বস্তু ঝুলন্ত দড়িতে ঝুলছে, তখন বস্তু বক্র গতিতে ঘোরে।

বক্র গতিতে বস্তুর গতিবেগ ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় কারণ বস্তু কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী বলের প্রভাবে বৃত্তাকার পথে চলে। কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী বল হলো বস্তুর উপর প্রয়োগ করা একটি বল যা বস্তুকে বৃত্তাকার পথে চলতে বাধ্য করে।

বক্র গতি কাকে বলে

বক্র গতির বৈশিষ্ট্য

  • বেগ এবং ত্বরণ উভয়ই দিক নির্ভর
  • কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বস্তুকে বৃত্তাকার পথে রাখে
  • বেগের পরিবর্তনের কারণে কেন্দ্রবিমুখী জড়তা সৃষ্টি হয়
  • বক্র গতিতে গতিশক্তি এবং কেন্দ্রস্থাপী শক্তির মধ্যে পরিবর্তন ঘটে

বক্র গতির সমীকরণ

v = √(a2 + r2ω2)

এখানে,

v = বস্তুর গতিবেগ

a = কেন্দ্রাতিপেটা ত্বরণ

r = বৃত্তের ব্যাসার্ধ

ω = কোণীয় বেগ

বক্র গতির প্রয়োগ

  • বক্র গতির ধারণা গ্রহের গতি, গাড়ির চলাচল, ঝুলন্ত বস্তুর গতি ইত্যাদি ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।
  • বক্র গতির ধারণা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, যেমন সেন্ট্রিফিউজ, ওয়াশিং মেশিন, ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
  • অনেক খেলাধুলায় বক্র গতি জড়িত, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, এবং টেনিস।

বক্র গতি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের চারপাশের অনেক ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:

  • পৃথিবীর ঋতু পরিবর্তন
  • গ্রহের কক্ষপথ
  • জোয়ারভাটা
  • উড়ন্ত বিমানের মোড়
  • রোলার কোস্টারের গতি